Header Ads

"পঞ্চায়েতে যে'কটা সিটে প্রার্থী দিতে পেরেছি তাতে লড়েই তৃণমূলের দম বন্ধ করে দেব।"


নজরবন্দি ব্যুরোঃ শুরুর থেকেই বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের রাজনৈতিক চালচলন খানিক আলাদা। বিতর্কিত মন্তব্য করে একাধিক বার সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। কিন্তু তারপরেও বদলায়নি তাঁর ডাকাবুকো আস্ফালন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে একাধিক জায়গায় প্রার্থী দিতে না পারা নিয়ে যখন চিন্তিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তখন ফের তৃণমূলকে লড়াইয়ে হারানোর কড়া বার্তা দিলেন গেরুয়া দিলীপ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ স্থির হয়ে গেছে রাজ্যে। সরকারের কথায় সম্মতি রেখে আগামি ১৪ মে একদিনেই ভোট গ্রহণের কথা ঘোষনা করেছে নির্বাচন কমিশন। ৫৮ হাজার ৪৬৭টি বুথে ভোট গ্রহণ হলে হিসেব মতো প্রতি বুথে ন্যূনতম একজন করে পুলিশ মোতায়েন করাও সম্ভব হবে না রাজ্য সরকারের পক্ষে। তার ওপর একাধিক জায়গায় প্রার্থী দিতে পারেনি বিরোধীরা। এরই সাথে স্মরণ করিয়ে দিতে হয় পঞ্চায়েতের মনোনয়ন জমা পর্বের অশান্তির কথা। এই অবস্থায় পঞ্চায়েতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শাসক দলকে টক্কর দেওয়া বিরোধীদের পক্ষে বেশ কঠিন। কিন্তু তা যে একেবারেই অসম্ভব নয়, বরং যে'কটা আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছেন তাতে লড়েই শাসকের দম বন্ধ করে দেবেন, এমনই হুঙ্কার দিলেন বিজেপির রাজ্য সভপতি দিলীপ ঘোষ। ভোটের আগে একটি প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অকপট দিলীপ ঘোষ কোনো রাখঢাক না করেই লড়াইয়ের ময়দানে তৃণমূলকে দম বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিলেন। তিনি বলেন, ৫৮ হাজার আসনের মধ্যে যদি ৩৮ হাজার আসনে শাসক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়ে প্রার্থী দিতে পারে বিজেপি তাহলে নির্বাচন লড়াইয়ে টক্কর দিয়ে তৃণমূলকে হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দিতে পারবে যে বিজেপি কি জিনিস। এদিনের সাক্ষাৎকারে দিলীপ বাবু বলেন, "রাজ্য সরকার সন্ত্রাসের শাসন কায়েম করে রেখেছেন রাজ্যে। পুলিশ এখানে নপুংশকের ভূমিকা পালন করে। কিন্তু পুলিশ পেছনে থাকলে অনেকেই বীরপুরুষের মতো কথা বলার সাহস পায়। পুলিশ সরে যাক কেষ্টর পেছন থেকে। লোক রাস্তায় পটিয়ে মেরে ফেলবে ওকে।"
নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলের নেতাদের এইরকম গা গরম করা মন্তব্য নতুন নয়। এতে গ্রাউন্ড স্তরে কর্মীদের মনোবল বাড়ে একথা ঠিক। তবে দিলীপ ঘোষের এই হুংকার কি আদৌ কাজে দেবে? পঞ্চায়েত নির্বাচনের হাত ধরে রাজ্যে কি আসবে গেরুয়া পরিবর্তন? উত্তর দেবে '১৭ মে' তারিখটি।

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.