গ্রামের গরীব মানুষের দাবি, সমর্থকদের দাবি মেনে স্বমহিমায় ফিরছে বামফ্রন্ট। ১৩ই বাংলা বন্ধ।
বিজেপির একজন খুন হয়েছে। সিপিআইএমের একাধিক সমর্থক আহত, হাসপাতালে ভর্তি। প্রাক্তন ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক কে মারধোরের পাশাপাশি মুখে মাখিয়ে দেওয়া হয় কালি। তাঁর স্ত্রী কে চুলের মুঠি ধরে মারা হয়েছে, গলা টিপে ধরে রাস্তায় ফেলে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর সামনে দলীয় সমর্থকদের মারা হয়েছে। থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে খোদ সাংসদ কে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে ১ ঘণ্টারও বেশি।
অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে। মনোনয়নের জন্যে একদিনের সময়সীমা বাড়িয়েও তা প্রত্যাহার করা হয়েছে ১২ ঘন্টার মধ্যেই। সব রেকর্ড ছাপিয়ে ১৭% আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে চলেছে তৃণমূল। বিরোধী ভেবে মার পড়েছে সরকারী কর্মচারির অপরেও।
ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পরে সাধারনত শান্তি পূর্ন প্রতিবাদের পথেই গেছে বামফ্রন্ট।
কিন্তু সাধারণ সমর্থকদের দাবি ক্রমশ বিদ্ধ করছিল আলিমুদ্দিনের নেতাদের, কেন চুপ নেতারা? আর কতদিন। সমর্থক রা মারের ভয়ে শক্ত ছাতা হিসেবে দিন দিন বাম ছেড়ে রামে ধাবিত হচ্ছে। তাই সমর্থক এবং গ্রামের অবহেলিত-শোষিত মানুষের কথা মাথায় রেখে স্বমুর্তিতে ফিরতে চলেছে সিপিআইএম তথা বামফ্রন্ট। আগামী ১৩ই এপ্রিল ডাকা হয়েছে সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত বাংলা বন্ধ। প্রাক নির্বাচনি সন্ত্রাসের অভিযোগে এই বাংলা বন্ধ ডাকল রাজ্য বামফ্রন্ট। বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে সর্বস্তরের সাধারণ গনতন্ত্রপ্রিয় মানুষকে বন্ধে অংশগ্রহন করার আহ্বান করা হয়েছে।
Loading...
কোন মন্তব্য নেই