Header Ads

মেধাতালিকা প্রকাশ করেও শিক্ষক নিয়োগ করছে না সরকার! আসল কারণ কি? #EXCLUSIVE

নজরবন্দি ব্যুরোঃ ২০১১ সালে বাম রাজত্বের অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তারপর থেকেই রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে জটিলতার সূত্রপাত। কখনো পরীক্ষার প্রশ্নে একাধিক ভুল প্রশ্ন থাকার জন্যে, আবার প্রশ্নপত্র বিভ্রাটের জেরে এবং এনসিআরটি-র নিয়মকে অগ্রাহ্য করে এবং শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্য প্রার্থীদের সুযোগ না দিয়ে অযোগ্যদের সুযোগ করে দেওয়ার ফলে একাধিক মামলা দায়ের হয় আদালতে। তার জেরেই শিক্ষক নিয়োগের বিভ্রাট চরম পর্যায়ে পৌঁছয় এই রাজ্যে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বর্তমানে এই রাজ্যে এমন অনেক স্কুল আছে যেখানে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম শিক্ষক নিয়ে স্কুল পরিচালনা করতে হচ্ছে। আর এভাবে স্কুল চালাতে গিয়ে চরম বেকায়দায় পড়ছেন প্রধান শিক্ষকরা। বাধ্য হয়েই অনেক স্কুল পরিচালন কমিটি ছাত্রদের থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে আংশিক সময়ের শিক্ষক নিয়োগ করতে বাধ্য হচ্ছেন। এক কথায় বলা যায়, শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে এই রাজ্যের প্রায় প্রতিটা স্কুল। এই সমস্যার সমাধানে পুরোটাই ব্যর্থ রাজ্য সরকার, অভিযোগ।

এইরকম এক ডামাডোল পরিস্থিতির মাঝে দুদিন আগে নবম ও দশম শ্রেণীর চূড়ান্ত মেধাতালিকা প্রকাশ করে কমিশন তথা রাজ্য সরকার। এর তিন মাস আগে একাদশ দ্বাদশের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। কিন্তু মেধা তালিকা প্রকাশ হলেও চাকরি প্রার্থীরা এখনই নিয়োগ পত্র হাতে পাবেন না। কারণ হিসেবে রাজ্য সরকারের তরফে জানানয় হয়, ইনসার্ভিস কেসের সমস্যা থাকার জন্য রাজ্য সরকারের ইচ্ছে থাকলেও চাকরি প্রার্থীদের হাতে নিয়োগ পত্র তুলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সূত্রের খবর, যে দুটি চূড়ান্ত প্যানেল প্রকাশিত হয় সেখানে ইনসার্ভিস এবং স্পেশাল বিএড দের নিয়েই প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছে। তাহলে ইনসার্ভিস কেসের বাহানায় নিয়োগ পত্র আটকে রাখা হচ্ছে কেন? বাঁধা কোথায়? প্রশ্ন তুলছেন চাকরি প্রাথিদের একটা বড় অংশ।

জানা গেছে, ইনসার্ভিস বা স্পেশাল বিএড-দের জন্যেই যে নিয়োগ পত্র দেওয়া যাচ্ছে না তা সত্য নয়। রাজ্য সরকার আসল সত্যকে চেপে রেখে ভুল তথ্যকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে। সূত্রের খবর, নিয়োগ নিয়ে শিক্ষক ছাত্র ঐক্য সংগ্রাম মঞ্চ-এর করা মামলা (৫৩৮৫ অফ ২০১৫) এবং তার সাথে যুক্ত হওয়া স্টে অর্ডার(ক্যান মামলা ১০২৩৫ অফ ২০১৬) যতদিন না নিষ্পত্তি হচ্ছে ততদিন রাজ্য সরকার কোনোমতেই নবম দশম বাঁ একাদশ দ্বাদশের নিয়োগ পত্র চাকরি প্রার্থীদের হাতে দিতে পারবেন না, এমনই মনে করেন এরাজ্যের আইনজীবী মহলের একটা বড় অংশ।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.