Header Ads

"আমি কি জিনিস জানোনা, বউকে উলঙ্গ করে নাচাবো," টাকা চেয়ে জুলুম তৃণমূল নেতার।#EXCLUSICE

নজরবন্দি ব্যুরো, পূর্ব মেদিনিপুরঃ তৃণমূলের 'সম্পদ' কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের আঁওরাই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ইন্দুভূষণ গিরির আরও একটি অডিও ক্লিপ এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়াতে। যে অডিওতে শোনা যাচ্ছে এই নেতা তথা উপপ্রধান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নামে এক ব্যক্তিকে হুমকি দিয়ে বলছেন, "আমি ইন্দু গিরি। আমি কি সিরিয়াস জিনিস তুমি জানোনা। তোমার ছেলেকে তুলে নিয়ে এসে কাটবো। তোমার বউকে উলঙ্গ করে নাচাবো। তা না পারলে আমার নামে কুকুর পুষবে। কল রেকর্ডিং যাকে পারও শোনাও। তাতে আমার যায় আসে না।"
তাপস পালের মতো ইন্দুভূষণ গিরিও যে খুব 'সাহসী' তা এ কথায় বেশ স্পষ্ট। কিন্তু কার সাহসে এমন সাহসী তিনি? এলাকার মানুষের কথায়, পরিবর্তনের আমলে শুনিয়া, নামালডিহা এ সব এলাকার বেতাজ বাদশা তিনি। ইন্দুর ভয়ে নাকি বাঘে-গরুতে একঘাটে জল খায়। কিন্তু এই অরাজকতা কত দিন চলবে? সম্প্রতি,ভগবানপুরে তৃণমূলের উপপ্রধান মহম্মদপুরের অঘোষিত রাজা বেঘোরে প্রাণ হারিয়েছিলেন জনরোষে। দীর্ঘদিনের অপশাসন, নির্যাতন থেকেই তৈরি হয়েছিল জনরোষ। প্রাথমিকের চাকরি দেওয়ার নামে কত কোটি টাকা প্রতারণা, চিংড়ির ভেড়িতে খাল কেটে নোনাজল ঢোকানো এমন হাজার হাজার অলিখিত অভিযোগ ছিল নান্টুর বিরুদ্ধে। যার শেষ পরিণতি ২৪ ফেব্রুয়ারি নৃশংস ভাবে খুন হতে হয়েছিল নান্টুকে। কাঁথির ইন্দুভূষণ গিরির কর্মকান্ডে ঠিক এমনই ছায়া দেখতে পাচ্ছেন এলাকার মানুষ।

এক সময় সিপিআই-র দুর্গ কাঁথিতে এখন রাজা এই ইন্দু। আর নিজের সেই রাজত্বে তিনিই শেষ কথা। স্কুল শিক্ষক নিয়োগে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ কম না। বুধবার দুপুরে বিশ্বজিৎ চৌধুরীকে মারধর করে অপহরণ এবং তার স্ত্রী মহুয়াকে ফোন করে খুনের হুমকি এবং অশ্লীল গালিগালাজের নেপথ্যে থাকা চাকরি সংক্রান্ত টাকা পয়সার দুর্নীতির ঘটনা আবার প্রকাশ্যে। চাকরির জন্য দেওয়া টাকা ফেরত না পেয়েই বিশ্বজিৎকে অপহরণ করার কথা অকপটে স্বীকার করে নিয়েছিলেন ইন্দু। যেখানে ইন্দু দাবি করেছিলেন, নিজের সম্পত্তি বিক্রি করে তিনি ৬ জনের জন্য ৪৮ লক্ষ টাকা অগ্রিম দিয়েছিলেন বিশ্বজিৎকে। আর সেই টাকা গত প্রায় ২ বছর ধরে তাগাদা দিয়ে ফেরত পাননি তিনি। যদিও ইন্দুর এই দাবি ভেজালে ভর্তি বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাঁদের দাবি, নিজে তৃণমূল উপপ্রধান হয়ে কি ভাবে একজন বেসরকারি সংস্থার কর্মীকে টাকা দিতে পারেন তিনি চাকরির জন্য? যা আরও স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিশ্বজিৎ নিজেই।

স্ত্রী মহুয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার রাতেই ইন্দুর হেফাজত থেকে বিশ্বজিৎকে উদ্ধার করে পুলিস। বৃহস্পতিবার কণ্ঠনি থানায় ইন্দু সহ ৮ জনের নামে অপহরণ এবং খুনের চেষ্টার লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। টাকা লেনদেন নিয়েই এই গণ্ডগোলের সূত্রপাত বলে স্বীকার করে নিয়েছেন বিশ্বজিৎও। তবে চাকরির জন্য না। জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত কাজের জন্য ইন্দুর থেকে সাড়ে ৯ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন তিনি। ইতিমধ্যে ৩ লক্ষ টাকা তিনি ইন্দুকে ফেরত দিয়েছেন। বাকি টাকা বুধবার দিতে না পারায় তাকে সদলে অপহরণ করেন ইন্দু।




বিশ্বজিতের থেকে ইন্দু যে সাড়ে ৯ লক্ষ টাকার মধ্যে অবশিষ্ট সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা পাবেন তাও একটি অডিও ক্লিপে স্পষ্ট। তাহলে ইন্দুর ৪৮ লাখের গল্প কতটা সত্য? তদন্ত করবে পুলিস। জেলা পুলিসের সর্বোচ্চ আধিকারিকের নজরে এসেছে গোটা ঘটনা। কিন্তু জনগণ বলছেন, ইন্দু বাজার থেকে অনেক টাকা তুলেছেন। নিজের সম্পত্তি বাড়িয়েছেন। আর লোক দেখতে এসব করছেন। দু'দিন ধরে এত তোড়জোড়। অথচ এই বিষয়ে কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের। এমনকি কোন সাহসে চাকরির নামে ইন্দু টাকা দিয়ে সেই টাকা চাইছেন সেই বিষয়টিও জানতে চাওয়া হয়নি দলের তরফে।
সেই বিস্ফোরক অশ্রাব্য কটু কথা
সম্পূর্ন অসম্পাদিত অডিও
https://youtu.be/3IU2M_Lo3mg
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.