ডাক্তারদের ইচ্ছাকৃত ভুলে মৃত্যু। আর এন টেগোর হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের। সরব তৃণমূলের কাউন্সিলর।
১৯ মার্চ আর এন টেগোর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং ওই হাসপাতালের চার জন ডাক্তার ডঃ অমিতাভ চক্রবর্তী, ডঃ সুজন বর্ধন, ডঃ দেবব্রত রায় এবং ডঃ মৃনালেন্দু দাসের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছেন শাসক দলের কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদার। তার স্বামী রঞ্জন শীলের আর এন টেগোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং ডাক্তারদের ইচ্ছাকৃত ভুল এবং গাফিলতির কারণেই মৃত্যু হয় তার স্বামীর, অভিযোগ অনিতা দেবীর। টাকার লোভে তার স্বামীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, দাবি করেন অনিতা দেবী। ২০১০ সালে অপারেশনের সিডি রোগীর পরিবারকে দেওয়া হলেও এবার তা কোনোভাবেই দিতে চাইছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ইচ্ছেকৃত ভাবে এটা করা হচ্ছে আসল সত্য গোপন করার জন্য, অভিযোগ মৃতের স্ত্রীর।
অনিতা দেবীর অভিযোগ, ২৪ মার্চ ২০১৩ তারিখে তার স্বামী আর এন টেগোর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান। তখনই তাকে ভর্তি করে নেওয়া হয় এবং পেসেন্ট কিংবা পেশেন্টের বাড়ির লোকের কোনো অনুমতি ছাড়াই তার স্বামীকে আইসিসিইউ-তে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ২০১০ সালে রঞ্জন বাবুর ওপেন হার্ট সার্জারি হয়। সেই সময়ের চিকিৎসার ডকুমেন্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে দিতে চাইলেও তা দেখেনি তারা। এমনকি তার স্বামীর ওপর গিনিপিগের মতো পরীক্ষামূলক চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া হয়েছে, যার ফল স্বরূপ মৃত্যু হয়েছে তার, দাবি করেছেন অনিতা দেবী।
অনিতা দেবী জানিয়েছেন, চিকিৎসার জন্য প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা তাকে দিতে বাধ্য করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শুধুমাত্র টাকার লোভে তার স্বামীর কিডনি বিক্রি করার অভিযোগও তুলেছেন অনিতা কর মজুমদার। এবিষয়ে পূর্ব যাদবপুর থানায় এফআইআর করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মৃত রঞ্জন শীলের স্ত্রী অনিতা কর মজুমদার। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩০৪এ, ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
Loading...
কোন মন্তব্য নেই