অতনুর পর প্রিন্স! বাড়ছে মৃত্যু মিছিল! মুখ্যমন্ত্রীকে কর্মসংস্থানে নজর দেবার অনুরোধ হবু শিক্ষকদের।
স্থানীয় সূত্রে খবর , রায়পুর রোডের বাসিন্দা প্রিন্স পড়াশোনায় বরাবর ভালো ছিলেন। মা,বাবা ও এক ভাইয়ের নিয়ে ছিল তাদের পরিবার। পড়াশোনা শেষ করে একটি চাকরিও পান। তবে তা বেশি দিন টেকেনি। শেষ কয়েক মাস ধরে বেকার অবস্থাতেই দিন কাটছিল ওই যুবকের। আর এই হতাশা থেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় এই যুবক।
প্রসঙ্গত, কিছু মাস আগে চাকরী না পেয়ে আত্মঘাতী হতে বাধ্য হতে হয়ে ছিল ৩০ বছরের এক যুবক। নাম অতনু মিস্ত্রি। ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার করে বাড়ির লোকজন। ইংরাজিতে এমএ করার পর বিএড সম্পূর্ণ করেছিলেন সোনারপুরের বাসিন্দা অতনু মিস্ত্রি। চেয়েছিলেন শিক্ষকতার পেশায় থাকতে। সেই চেষ্টাও করে যাচ্ছিলেন অতনু। কিন্তু কিছুতেই চাকরি হচ্ছিল না।
এভাবে বছরের পর বছর বেকার থাকতে থাকতে হতাশ হয়ে পড়েন ওই যুবক। অন্তত তেমনই জানাচ্ছেন এলাকার লোকজন। পরে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় পাশ করে কাউন্সিলিংয়েও হাজির হন। সেখানে নাকি দালাল চক্রের হাতে পড়েন তিনি। এমনটাই অভিযোগ। আরও অভিযোগ চাকরি নিশ্চিত করতে ৭ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়।
দরিদ্র বাবার পক্ষে সে টাকা যে দেওয়া সম্ভব নয় তা বুঝে সেই চেষ্টা থামিয়ে শুরু করেন বেসরকারি অফিসে চাকরির খোঁজা। একটি চাকরির ইন্টারভিউতে তাঁকে ঝাড়ুদারের কাজে নিয়োগের কথা বলা হয়। তারপরই বাড়ি ফিরে গান শোনার ছুতোয় মাকে ঘর থেকে বার করে অতনু আত্মহত্যা করেন বলে দাবি করছে তাঁর পরিবার। চাকরি না পাওয়ার অবসাদ থেকেই আত্মহত্যা। এমনটাই মনে করেন স্থানীয় লোকজন।
যখন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হাজার-হাজার নয়, লাখ-লাখ চাকরীর কথা বলছেন, সেই বাজারে রাজ্যে একের পর এক যুবক চাকরীর অভাবে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। এর পরেও কি মুখ্যমন্ত্রী ১০ লক্ষ চাকরীর গল্প শোনাবেন। এই মিথ্যা প্রতিশ্রুতির গল্প বলে লাভ কি?
যখন আদালত মালদার হবু শিক্ষকদের নিয়োগ করতে নির্দেশ দিচ্ছে, তখনও তাদেরকে নিয়োগ পত্র দেয়নি রাজ্য সরকার। বাধ্য হয়ে অনশনের পথ বেছে নেয় ওই সমস্ত বেকার চাকরী প্রার্থীরা। তাতেও টনক নড়েনি রাজ্য সরকারের। শেষে মুকুল রায়ের প্রতিশ্রুতি পাবার পর আন্দোলন প্রত্যাহার করেন মালদার চাকরী প্রার্থীরা।
সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচন। রাজ্যে বিজেপি তাদের সংগঠন বাড়াচ্ছে বিদ্যুৎ গতিতে। তাই এই বারের পঞ্চায়েত নির্বাচন খুব একটা সহজ হবে না রাজ্যের শাসক দলের কাছে। তাই মুখ্যমন্ত্রী লাখ-লাখ কর্মসংস্থানের গল্প না বলে সত্যি-সত্যি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করুন। রাজ্যে বেকারদের মৃত্যু মিছিলকে আটকান! এমন ভাবেই ক্ষোভ উগরে দিলেন মালদার এক চাকরী প্রার্থী।
Loading...
কোন মন্তব্য নেই