Header Ads

নতুন কেলেঙ্কারির হদিশ মাদ্রাসায়! কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার।

নজরবন্দি ব্যুরোঃ আরও সমস্যার মধ্যে পড়লো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার গিমাগেড়্যা ওয়েলফেয়ার হাই মাদ্রাসা। সরকারি সম্পত্তি বিক্রি করা সহ আরও বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ আছে ওই মাদ্রাসা পরিচালন সমিতির বিরুদ্ধে। এবার তা জানতে চেয়ে শোকজ করলো মাদ্রাসা পর্ষদ। গত সোমবার ওই মাদ্রাসায় শোকজ লেটার পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। দু সপ্তাহের মধ্যে এই শোকজ লেটারের জবাব চাওয়া হয়েছে।
উন্নয়নের স্বার্থে গিমাগেড়্যা মাদ্রাসাকে কয়েকজন ব্যক্তি জায়গাদান করেছিলেন। যেহেতু গিমাগেড়্যা সরকারি এইডেড মাদ্রাসা, সুতরাং দান করা ওই জায়গাটি সরকারি সম্পত্তি। এটাই নিয়ম। আর সেই সম্পত্তি বিক্রি করতে হলে নিয়ম মোতাবেক পর্ষদের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু হাই মাদ্রাসার পরিচালন সমিতি পর্ষদের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি। মাদ্রাসাকে দান করা ওই সম্পত্তির বর্তমান মূল্য ৫০ লক্ষ টাকার বেশি।

শুধু তাই নয়, হোস্টেল বাবদ অনুদানের ২ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এই প্রধান শিক্ষক আবার মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন তুলে দেওয়ার জন্য হাইকোর্টে মামলা করেছিল। এবং আরও অভিযোগ, এই শিক্ষক ৫৪০ জন শিক্ষক নিয়োগ করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন মাদ্রাসায়। এক একজন চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই সম্পত্তি দখল করতে চায় মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আহমেদ হোসেন শাহর। সেই কারণে পার্শ্ববর্তী মৌজার অন্য একটি জায়গার সাথে মাদ্রাসার ওই সম্পত্তিটি বেআইনি ভাবে হস্তান্তর করে বিক্রি করে ফায়দা নেওয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

সমস্ত নথিপত্র সহ ওই মাদ্রাসার পরিচালন কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন মাদ্রাসার স্টুডেন্ট ইউনিয়ন সহ একাধিক লোকজন। সেই অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে মাদ্রাসা পরিচালন সমিতিকে শোকজ করেছে পর্ষদ। আগামি দু সপ্তাহের মধ্যে বেআইনি সম্পত্তি হস্তান্তর থেকে বিক্রি করার যে অভিযোগ উঠেছে তার জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত মাদ্রাসা পরিচালন সমিতির পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জবাব না পেলে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়ার পথে হাঁটবে রাজ্য সরকার।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.