Header Ads

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার একমাত্র কংগ্রেস বিধায়ক এবার তৃণমূলের পথে?

নজরবন্দি ব্যুরো,বালুরঘাট: হারাধনের দশটি ছেলের মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় যাওবা শিব রাত্রির সলতের মত কংগ্রেসের একমাত্র কংগ্রেস বিধায়ক বলতে একজন ছিল।সেও নাকি তৃণমূল শিবিরে গিয়ে ভিড়েছে।
এমন খবর গতকাল রাত থেকে চাউর হতেই এই নিয়ে জেলা জুড়ে জোর গুঞ্জন আর জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও এর মধ্যেই খোদ ওই গঙ্গারামপুরের কংগ্রেস বিধায়ক গৌতম দাস অবশ্য সরাসরি তার বিরুদ্ধে ওঠা এই খবরের গুঞ্জন ও জল্পনা নিয়ে যেমন একদিকে অস্বীকার করেছেন । তেমনি পাশাপাশি তিনি যে বিরোধী শিবির বদলে ক্ষমতাসীন দলে গিয়ে ভিড়ছেন না তাও পাশ কাটিয়ে অস্বীকারও করছেন না। তিনি জানান সব প্রশ্নের উত্তর সব সময় দেওয়া সম্ভব হয় না। কিছু বাধ্যবাধকতা থাকে। তবে যা করব বা করছি জানিয়ে দেব সবাইকে।আর জেলা কংগ্রেস সভাপতি নিলাঞ্জন রায়কে এব্যাপারে ফোন করলে তিনি পরে কথা বলছি বলে ফোন ছেড়ে দেন।তাতে বোঝা যায় তিনি এবং তার দল যে গৌতম বাবুকে নিয়ে বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েছেন তা স্পষ্ট।

প্রসঙ্গত, গতকাল বিধানসভায় রাজ্যসভার ভোট গণনার শেষে তৃণমূলের কোন একটি অংশ থেকে হাওয়ায় ভাসিয়ে দেওয়া হয় গঙ্গারামপুরের কংগ্রেস বিধায়ক গৌতম দাস তাদের শিবিরে যোগ দিয়েছেন। এদিকে সন্ধ্যের পর সে খবর অন্তত দ্রুততার সাথে জেলার রাজনৈতিক মহলে ছড়িয়ে পড়ে। জেলা বাম কংগ্রেস জোটের পক্ষ থেকেও এই খবরের সত্যতা নিয়ে খোজ খবর শুরু হয়। কেননা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ছয়টি বিধান সভা আসনের মধ্যে কংগ্রেসের এই একমাত্র আসনটি নিয়ে বাম দলের জোট প্রধান বিরোধী দল। বাম কংগ্রেস জোট ৪ আর তৃণমূল ২। যদি এই মুহূর্তে কংগ্রেসের বিধায়ক দল বদল করে ক্ষমতাসীন দলে যোগ দেয়। তাহলে বিধান সভার আসনের সংখ্যাটা ৩-৩ গিয়ে দাঁড়াবে।তারফলে একদিকে যেমন আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে বাম কংগ্রেস জোট হোক বা না হোক বিরোধী দল হিসেবে জেলার ভোটারদের কাছে কিছুটা হলেও ভুল বার্তা যেমন যাবে। তেমনি আসন সংখ্যা সমান সমান হয়ে যাওয়ার নিরিখে ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল অনেকটাই লাভবান হবে। সে দিকে লক্ষ রেখে খোজ খবর শুরু হলেও গভীর রাত পর্যন্ত এই নিয়ে না জেলা কংগ্রেস না খোদ ওই বিধায়কের পক্ষ থেকে কোন উচ্চবাচ্য না করায় বিষয়টি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে জেলা বাম জোট নেতৃত্ব।


জেলা সি পি এম এর সম্পাদক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী নারায়ণ বিশ্বাস এবিষয়ে বলতে গিয়ে বলেন পয়সা ও ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে এর আগেও আমাদের দলের গাজোলের বিধায়ককে তৃনমুল কিনে নিয়েছিল। সে রকম এক্ষেত্রেও যে হবেনা তার কি গ্যারান্টি আছে।উনার আবাহন নেই আবার বিসর্জন ও আমাদের কাছে নেই। উনার সম্বন্ধে এরকম গুজব মাঝে মাঝে উঠছে। যখন উঠছে তখন এর পিছনে কিছুনা কিছু ঘটনা অবশ্যই থেকে থাকবে। হয়তো আগের সে সব সময় দরকষাকষি ঠিকমত হয়েছিলনা। এখন হয়েছে বা হবে। তবে বিষয়টি যদিও সত্যি হয় গঙ্গারামপুরের মানুষের কাছে তাকে জবাবদিহি করতে হবে।মানুষ ছেড়ে কথা বলবে না বলে তিনি হুশিয়ারি দেওয়ার পাশাপাশি তার ওই দলে যাওয়ার আগে তাকে বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করার দাবি জানান তিনি। উল্লেখ থাকে জোটের স্বার্থে এই গঙ্গারামপুর আসনে নিজে না দাঁড়িয়ে তিনি নিজে কংগ্রেসকে ছেড়ে দিয়েছিলেন।এদিকে গত সাত মার্চ জেলা কংগ্রসের দ্বারা তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে এক গুচ্ছ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে যে ঘেরাও বিক্ষোভ কর্মসূচী হয়েছিল। তার মুখ ছিলেন স্বয়ং গৌতম দাস। জেলার রাজনৈতিক মহল বুঝে উঠতে পারছেনা। নিজেই যেখানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন। সেখানে এর পরেও তিনি সে দলে যোগ দিয়েছেন বা অদূর ভবিষ্যতে যোগ দিতে চলেছেন।তবে আজকালকার রাজনীতিতে সব সম্ভব বলে তারা মনে করছে। যদিও জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিল্পব মিত্র জানিয়েছেন তার এ বিষয়টি জানা নেই।তবে দলের অন্য একটি সূত্র মারফৎ জানা গেছে গৌতম দাস নাকি তাদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য পা বাড়িয়েই রয়েছে। শুধু সময়ের অপেক্ষা।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.