Header Ads

৫০% নাম্বারের গেরোয় চাকরি হারাতে পারেন কয়েক হাজার শিক্ষক! সমাধান সূত্র কোথায়?

নজরবন্দি ব্যুরো: স্নাতকস্তরে ন্যূনতম ৫০ % নম্বর না থাকা মাধ্যমিক শিক্ষকরা চাকরি বাঁচাতে পারবেন কি না, তা নিয়ে একটা আশঙ্কা সবার মধ্যে তৈরি হয়েছে। শিক্ষা-দপ্তরে সূত্রে খবর , এই আশঙ্কার যথার্থ কারণ আছে। তবে এই ক্ষেত্রে বেশি সমস্যাতে পড়বেন নতুন শিক্ষকরা। তবে পুরনো শিক্ষকরা যে একেবারে সেভ তা বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষা-দপ্তরের গড়িমসিও বিপদ বাড়াচ্ছে বলে মনে করেন শিক্ষাবিদদের একটা বড় অংশ। এরকম শিক্ষকদের সংখ্যাটা প্রায় ৪০০০-এর কাছাকাছি হবে বলে খবর।


আগেই নির্দেশ ছিল,২০১৯ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে ট্রেনিং সেরে ফেলতে না পারলে তাঁদের চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক তা বহু আগেই জানিয়ে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্য গুলিকে। তবে রাজ্য গুলি ছাড়ের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য আবেদন করায়, তা খারিজ করেছে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। ১২ ডিসেম্বর মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের আন্ডার সেক্রেটারি রোহতাস ভানকর এ রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তরের সিএস ব্রাঞ্চে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, এই ছাড় আর বাড়ানো কোন মতেই সম্ভব নয়। কিন্তু তারপরে রাজ্য সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত সেইভাবে কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলে খবর।


প্রসঙ্গত, মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের অধীন এনসিটিই-র দেওয়া ছাড়েই এ রাজ্যে স্নাতকে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ এবং বিএড ছাড়া শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল এ রাজ্যে। ফলে একটা বড় সংখ্যক প্রার্থী সেই যোগ্যতা ছাড়াই লিখিত পরীক্ষা এবং ইন্টারর্ভিউ ভালো দিয়ে চাকরি পেয়ে যান। কিন্তু স্নাতকে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর না থাকলে এনসিটিই এখন আর বিএড করার অনুমতি দিচ্ছে না। তাই এই সমস্ত প্রার্থীরা বিপদে পড়েছেন।




বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, রাজ্যের তরফে কেন্দ্রকে বোঝানোর ক্ষেত্রেও ঘাটতি থেকে গিয়েছে। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রককে এটা বোঝানো দরকার ছিল যে, তাদের দেওয়া ছাড়ের উপর ভরসা করেই এই সমস্ত প্রার্থীদের চাকরি দিয়েছে রাজ্য সরকার। এখন কেন্দ্র এই ছাড়ের মেয়াদ না বৃদ্ধি করলে ওইভাবে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে যাবে।

যদিও, ২০১৪ সালের শেষের দিকে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বেঁধে দেওয়ার ক্ষমতাও এনসিটিই-র হাতে চলে আসে। তার আগে এনসিটিই-র পরিধি ছিল শুধুমাত্র উচ্চ-প্রাথমিক স্তর বা অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত। তাই তখন এইসব জটিলতা ছিল না।


রাজ্যের বক্তব্য, এনসিটিই-র দায়িত্বে আসার আগে যে সমস্ত শিক্ষক মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের চিন্তিত হওয়ার সি রকম কারণ নেই। কারণ, তখন এনসিটিই শিক্ষাগত যোগ্যতার উপর কোন রকম লাগাম দেয়নি। কিন্তু সমস্যায় পড়তে পারেন যারা নতুন করে শিক্ষকতায় সুযোগ পেয়েছেন। অর্থাৎ এনসিটিই যখন এই নিয়মের জালে সব কিছুকে বেঁধে দেয় তার পরে যারা শিক্ষক হয়েছেন, তার বিপদে পড়তে পারেন।

আর এই সমস্যা থেকে কি করে সমাধান করা সম্ভব তা বুঝে উঠতে হিমসিম খাচ্ছে রাজ্য সরকার।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.