Header Ads

"আল্লা না বড় রাম? এই চলে অবিরাম!" ৩টে জীবন, অরিন্দম বাবুর হাত কে ফিরিয়েদেবে? এজেন্ট-রা? ভয় করছে...


অর্ক সানা, সম্পাদক(নজরবন্দি): আগামীকাল সাংগঠনিক বৈঠক করতে শিলিগুড়ি আসছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তাঁর আগে আজ সকালেই দার্জিলিং মেলে শিলিগুড়ি পৌঁছে গেছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।
শিলিগুড়িতে পৌঁছানোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মুকুল বাবু বলেন "রামনবমী উৎসব ও অস্ত্র নিয়ে মিছিল আজ প্রথম হচ্ছে না। অস্ত্র মিছিল ভারতের পরম্পরা। এটা নিয়ে অহেতুক পারদ চড়াচ্ছে রাজ্য সরকার। তৃণমূলও অস্ত্র নিয়ে মিছিল করেছে সেই ছবি রয়েছে। এটা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে।"


রাণীগঞ্জের ঘটনা নিয়ে বেশি কথা বাড়াননি মুকুল এককথায় তাঁর উত্তর "দুঃখজনক"! এবার প্রশ্ন হচ্ছে রামের নামে আগুন জ্বালানো হল রাজ্যে। তাঁর দায় কে নেবে? মমতা ব্যানার্জীর সরকার না বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ? এই পরম্পরা কি পশ্চিমবঙ্গে যুগ যুগ ধরে চলে আসছে? কেউ দেখেছেন! প্রশ্ন তুললেই পাল্টা প্রশ্ন মহরমের সময়েও তো অস্ত্র মিছিল করে ওরা! এই যে ওরা আমরা করে আমরা হিন্দু ওরা মুশলমান এই সংস্কৃতি নিয়ে আসা হচ্ছে বঙ্গে সেটা কিসের জন্যে? প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধবাবু বলতেন "এরাজ্যে দাঙ্গা লাগাতে এলে মেরে মাথা ভেঙে দেব, ওরা ৩০ আমরা ২৩৫।" কেউ কিন্তু এগোতে সাহস করেনি তখন! তবে রাজনীতি হয়েছিল বাক্যটাকে এডিট করে! পুরো বাক্য টা না প্রচার করে প্রচার করা হয়েছিল "মেরে মাথা ভেঙে দেব, ওরা ৩০ আমরা ২৩৫"!


বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যরা ক্ষমতার বাইরে আজ ৭ বছর হতে চলেছে! সেই ওরা আমরা আবার ফিরে আসছে এবার সরাসরি সম্প্রদায় নিয়ে..! কেন এই বিষ ছড়ানোর চেষ্টা! কাজ নেই, অন্ন নেই সেই দাবি সরিয়ে কেন এইসব? নজর ঘুরিয়ে সস্তার রাজনিতীর চেষ্টা! ক্ষমতার এত লোভ? মহরম হোক বা রামনবমী কেন খোলা অস্ত্র নিয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে হবে? শক্তি না ভক্তি!! আমরা সাধারণ মানুষ ভক্তি জাগে না ভয় পাই। যারা পড়ছেন তাঁদের বলছি আপনি কোণ ধর্ম বা কোন দলের সমর্থক ভুলে যান। ভেবে দেখুন মহরমের দিন বা বর্তমানে ট্রেন্ডিং রাম নবমীর দিন রাস্তার বাস ট্রাম ট্রেন অন্যান্য দিনের থেকে ফাঁকা থাকে! কেন? আপনি বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে ওই বিশেষ দিন গুলোতে কেউ সাবধানবানী দেয়না তো যে আজ বেরোবি? গন্ডোগোল হতে পারে। একান্ত বেরতে হলে শুনতে হয় সাবধানে যাস!!! আপনাকে শুনতে হয় কিনা জানিনা আমাকে শুনতে হয়েছে! আমার স্বাধীন দেশে নির্ভয়ে বেরোনোর স্বাধীনতা নেই!!! কিসের সরকার তাহলে? কিসের স্বাধীনতা! কেমন প্রশাসন?

মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত যা খবর তাতে রামনবমীর মিছিল ঘিরে এখনও পর্যন্ত তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন বহু। প্রচুর ভাঙচুর! আর সব থেকে ভয়ানক আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার(সদর) অরিন্দম দত্তচৌধুরীর ক্ষত-বিক্ষত হাতের বীভৎস ছবি। একজন কমিশনার পদমর্যাদার আইপিএস এর হাত উড়ে যায় যেখানে সেখানে আমি আপনি কে!!! আমরা তো ছারপোকা! ৩টে লাশ, অরিন্দম বাবুর হাত কে ফিরিয়ে দেবে আল্লা না রাম? নাকি তাঁর এজেন্ট-রা? নচিকেতা লিখেছিল "হাজার প্রতিশ্রুতি বাতাসেই বয়ে যায়, চলছে না চলবে না! তবু তাই হয়ে যায়" "আল্লা না বড় রাম এই চলে অবিরাম"! "খুনোখুনি লাঠালাঠি অবিরাম অনুখন, এদিকে তোমার আমার পেটেতে ছুঁচোর ডন"! শুনছেন মুখ্যমন্ত্রী? প্রধানমন্ত্রী। বড্ড ভয় করছে আমার স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে শ্বাস নেওয়ার অধিকার নেই কেন?????? কেন??




কোরান, গীতা, বেদ সবকিছুতেই শান্তির কথা বলা আছে। কেন আল্লা বা রামের নাম নিয়ে রাজনীতি? আমার কাছে ধর্ম মানে কীর্তন, সংকীর্তন, আজান, হিমস, ক্যারল এককথায় সংগীত। ধর্ম মানে গীতা, কোরান, বাইবেল, ইলিয়াড-ওডিসি, রামায়ন - মহাভারত কত বড় বড় মহকাব্য! এককথায় সাহিত্য। ধর্ম মানে মন্দির, মসজিদ, গির্জা, চার্চ, ক্যাথিড্রাল, এক কথায় স্থাপত্য - আর্কিটেকচার! কত কত মন্দির মসজিদের গায়ে অসাধারণ সব কারুকাজ! সিস্টিন চ্যাপেলের গায়ে মাইকেল অ্যাঞ্জেলোর পেন্টিং.... আসলে ধর্ম মানে শিল্প। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একে অপরের পাশে থাকা।
আমার কাছে অধর্ম যুবসমাজের হাতে কাজ না তুলে দিয়ে, প্রশ্ন তোলার ক্ষমতা থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে তাদের আচ্ছন্ন করে রাখা! কতজন মুসলমান গীতা টা পড়ে হিন্দুদের ঘৃণা করেন, আর কতজন হিন্দু কোরান টা পড়ে মুসলমানদের ঘৃণা করেন বলতে পারেন? কেউ যদি ধর্মবোধ জাগাতে চান তবে পড়াশুনো করুন, করান। দেখবেন....সত্যিই "একদিন ঝড় থেমে যাবে, পৃথিবী আবার শান্ত হবে।"
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.