Header Ads

স্কুলশিক্ষা দপ্তরের নির্দেশিকার জেরে আরও জটিল হল শিক্ষক নিয়োগ!

নজরবন্দি ব্যুরোঃ শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী নিয়োগে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে ছাড়পত্র দিয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। ঘোষণা অনুযায়ী, এবার থেকে স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগ করতে পারবে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। গতকাল এই বিষয়ে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে পর্ষদের কাছে। কিন্তু স্কুল শিক্ষা দপ্তরের এই ঘোষণার ফলে শিক্ষক নিয়োগ আরও জটিল সমস্যায় জড়িয়ে গেল।
এসএসসি-র মাধ্যমে গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া আটকে ছিল। গতকাল সেই বিষয়ে নিয়োগের বিষয়ে পর্ষদকে নির্দেশ দেয় রাজ্য স্কুলশিক্ষা দপ্তর। আর শিক্ষা দপ্তরের এই নির্দেশিকা নিয়ে ধোঁয়াশায় খোদ পর্ষদ, জানিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। নির্দেশিকা নিয়ে তাঁর মন্তব্য, "এখনই কিছু বলতে পারবো না। পর্ষদ সভাপতির এই মন্তব্যের পর এটা পরিষ্কার যে শিক্ষক নিয়োগের সমস্যা কাটেনি, বরং তা আরও জটিল হল।

গতকাল স্কুল শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশিকা জারির পর একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যার উত্তর মেলেনি। এতদিন পর্যন্ত মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত রাজ্যের সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের পাঠ্যক্রম তৈরি করতো। স্কুল শিক্ষা দপ্তরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার থেকে কি রাজ্যের সব সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীও নিয়োগ করবে পর্ষদ? উচ্চ প্রাথমিক এবং নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের ক্ষেত্রেও কি নিয়োগের দায়িত্ব পাচ্ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ? তাহলে স্কুল সার্ভিস কমিশন কি এখন থেকে নিয়োগ করতে পারবে না?

কোনো প্রশ্নেরই উত্তর দিতে পারছেন না পর্ষদের কর্তারা। স্কুল শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশিকা আসলে কি বোঝাতে চেয়েছে তা বুঝতে পারছেন না খোদ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান। যার ফলে অশনিসংকেত দেখছেন শিক্ষক পদপ্রার্থীরা। নতুন করে জারি হওয়া এই নির্দেশিকার জেরে নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও জটিল হয়ে গেল, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.