Header Ads

শিক্ষক সমস্যার সমাধান দূর-অস্ত! উল্টে নতুন বিপাকে রাজ্যের শিক্ষকরা।

নজরবন্দি ব্যুরোঃ রাজ্য জুড়ে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া এক জটিল পরিস্থিতির গেরোয় আটকে রয়েছে। চাকরি না পেয়ে ক্ষোভ বাড়ছে চাকরি প্রার্থী যুব সমাজের মধ্যে। সেই ক্ষোভের প্রশমনের চেষ্টা না করেই শিক্ষকদের জন্য আরও কড়া নিয়ম চালু হল বায়োমাট্রিক পদ্ধতিতে।
এবার থেকে প্রার্থনার সময়েও স্কুলে শিক্ষকদের উপস্থিতি বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নথিভুক্ত হবে। অর্থাৎ প্রার্থনার সময়ে ক্লাসে শিক্ষকের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। তিনদিন অনুপস্থিতি থাকলে একদিনের সিএল কাটা যাবে। যদি কোনো শিক্ষক বারবার একই ভাবে এই কাজ করতে থাকেন তাহলে প্রথমে তাকে ওয়ার্নিং দেওয়া হবে। এতেও যদি কাজ না হয় তখন ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।

শিক্ষকদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নতুন এই কড়াকড়ি চালু করলো যাদবপুর বিদ্যাপীঠ। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, স্কুলের পঠনপাঠন ব্যবস্থায় আরও বেশি শৃঙ্খলা আনতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ফলে এখন থেকে প্রত্যেক শিক্ষককে বেলা ১১টার মধ্যে স্কুলে ঢুকতে হবে। প্রসঙ্গত, এই বায়োমেট্রিক কোনো নতুন পদ্ধতি নয়। রাজ্যের একাধিক স্কুল এবং কলেজে শিক্ষক শিক্ষিকাদের ওপর নজরদারি চালাতে চালু রয়েছে এই পদ্ধতি।

শিক্ষকদের ওপর এই কড়াকড়িকে সমর্থন করেছেন অনেক শিক্ষক। তাদের মতে, এর ফলে স্কুল গুলিতে নিয়ম শৃঙ্খলা বজায় থাকবে। কিন্তু এর বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন শিক্ষকদের একটা বড় অংশ। তাদের কথায়, "রাজ্যে শিক্ষকদের একাধিক সমস্যা রয়েছে। কর্মরত শিক্ষকদের বেতন থেকে শুরু করে আরও বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের কোনো চেষ্টা না করে এইসব নিয়ম কেন করছে সরকার তা কারো অজানা নয়। আসলে মূল সমস্যা গুলো থেকে মানুষের নজর অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয় এগুলো।"
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.