Header Ads

জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি শিক্ষামন্ত্রীকে! মুকুল পথেই মিললো হবু শিক্ষকদের সমাধান সূত্র!

নজরবন্দি ব্যুরোঃ অবশেষে মিললো পথের দিশা। টানা ২৪ দিন অন্ধকারে কেটেছে মালদা জেলার প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীদের। শেষ পর্যন্ত আজ অনশন প্রত্যাহার করে নিলেন হবু শিক্ষকরা।
১৮ ফেব্রুয়ারি নিয়োগপত্রের দাবিতে অনশনে বসেছিলেন মালদা জেলার ২০০৯ সালের প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীরা। টানা ২৪ দিন ধরে অনশন চালিয়ে গেছেন। অনশন মঞ্চেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন একের পর এক চাকরি প্রার্থী। তবে হবু শিক্ষকদের এই দুর্দশা নজরে পড়েনি রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কোনো রকম সাহায্যের আশ্বাস দেননিতিনি। রাজ্যপালের দ্বারস্থও হয়েছিলেন চাকরি প্রার্থীরা। কিন্তু সেখান থেকেও সেভাবে সাড়া মেলেনি। ফলে দিশাহিন এক অন্ধকূপের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছিলেন অনশনকারীরা। সেখান থেকে সসম্মানে তাদের বের করে আনলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।

আজ মালদার অনশন মঞ্চে অপুস্থিত হন মুকুল রায়। চাকরি প্রার্থীদের সমস্ত কথা শুনে তিনি তাদের অধিকার ছিনিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের অধিকার আদায়ের জন্য রাজনৈতিক যুদ্ধে যতদূর যেতে হয় ততদুর যাবেন। এরপরেই অনশন তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান তিনি। মুকুল রায় জানান, চাকরি প্রার্থীরা তাঁর অনুরোধ রক্ষা করে অনশন তুলে নেওয়ার তাঁর দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। ন্যয়বিচার না পাইয়ে দেওয়া পর্যন্ত লড়ে যাবেন তিনি।

এদিন অনশন মঞ্চে শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবি করেন মুকুল। তিনি বলেন, "অনৈতিক ভাবে টাকার বিনিময়ে শিক্ষক পদ বিক্রি করতে মদত দিচ্ছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে তাঁর মনে রাখা দরকার, চণ্ডীগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে দুর্নীতির দায়ে এই মুহূর্তে জেলে রয়েছেন।" চাকরি প্রার্থীদের দাবি না মানলে অদূর ভবিষ্যতে পার্থ বাবুরও যে সেই অবস্থাই হবে ইঙ্গিতে সেই কথাই বুঝিয়ে দিলেন মুকুল রায়।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.