Header Ads

পঞ্চায়েতের আগে জোর কদমে চলছে কর্মী নিয়োগ। তবে শুধুই তৃণমূল ঘনিষ্ঠদের!

নজরবন্দি ব্যুরোঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আর মাত্র কিছুদিন বাকি। তার আগেই কর্মী নিয়োগ শুরু করলো রাজ্য সরকার। পঞ্চায়েতে কর আদায়কারী হিসেবে কর্মী নিয়োগের ফরমান পৌঁছে গেছে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে। তবে এই নিয়োগ কোনো বেকার যুবক যুবতীর জন্যে নয়, এ সুযোগ শুধুমাত্রই তৃণমূল ঘনিষ্ঠদের জন্য, অভিযোগ বিরোধীদের।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জেলা পরিষদের অর্থ সংস্থা উন্নয়ন ও পরিবেশ স্থায়ী সমিতির সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিল বৃদ্ধির জন্য কর আদায়কারী হিসেবে কর্মী নিয়োগের লিখিত নির্দেশ পাঠানো হয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েত গুলিতে। তবে এই কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো আবেদন পত্র গ্রহণ কিংবা প্রার্থী বাছাইয়ের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না। এক পঞ্চায়েত সচিব জানিয়েছেন, "ওপর তোলার নেতারা যাদের নাম সুপারিশ করছেন তারাই বহাল হচ্ছে কাজে। কোনো প্রার্থী বাছাইয়ের প্রশ্নই এখানে নেই।"

আর এক পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য, 'দাদা'র সাথে আলোচনা করেই প্রার্থী নিয়ে নেব আমরা। এই 'দাদা'টি যে তৃণমূলের কোনো নেতা তা বুঝতে অসুবিধা হয়না। সব জায়গাতেই এই 'অদ্ভুত' পদ্ধতিতে চলছে নিয়োগ। শিক্ষক নিয়োগের একাধিক পরীক্ষায় পাশ করে বসে রয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা। চার বছর ধরে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ রাজ্যে। আদালত নির্দেশ দিলেও নিয়োগপত্র পাননি প্রাথমিকের শিক্ষক পদপ্রার্থীরা। তার মধ্যেই তৃণমূল ঘনিষ্ঠদের চাকরি দেওয়ার কাজ শুরু করলো সরকার, অভিযোগ বিরোধী রাজনৈতিক দল গুলির।

রাজ্য জুড়ে শিক্ষক অসন্তোষ, সরকারি কর্মী অসন্তোষে জর্জরিত শাসক দল। তার আঁচ যে ভোটব্যাঙ্কে এসে লাগবে তা বুঝতে পেরেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। আর সেই কারণেই পঞ্চায়েত ভোটে ঠ্যাঙারে বাহিনী মজবুত করতে এই 'বিশেষ' নিয়োগের আয়োজন করেছে তৃণমূল সরকার, বিস্ফোরক অভিযোগ তুলছে বিরোধী শিবির এবং চাকরি প্রার্থীরা।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.