"ডিগ্রির যোগ্যতা নয়, ঘুষ দেওয়ার যোগ্যতা চাই! নাহলে শিক্ষক হওয়া যায় না এরাজ্যে!"
দুর্নীতি আর অরাজকতার আখড়া সেই রাজ্যের নাম পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যের একাধিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় পাশ করেও নিয়োগ পাননি চাকরি প্রার্থীরা। আদালতের নির্দেশেও কাজ হয়নি। সরকারের তরফে কখনো অজুহাত দেখানো হয়েছে, আদালতের মামলার কারণে নিয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু যেখানে আদালত নিয়োগপত্র দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সেখানেও হচ্ছে নিয়োগ।
যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষকদের যখন এরকম দুরবস্থা তখন ঘুষের বিনিময়ে দিব্যি চাকরি পেয়ে যাচ্ছেন অযোগ্য ব্যক্তিরাও। এরকমই একটি অভিযোগ আবার প্রকাশ্যে এলো। ২০১৪ সালে প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পাওয়া এক শিক্ষকের মাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বর ৩৯.০৬ শতাংশ এবং উচ্চমাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বর ৩১ শতাংশ। এরকম একজন নিম্নমেধার ব্যক্তি শিক্ষক পদে নিয়োগ পেয়েছেন শুধুমাত্র বিপুল অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে, অভিযোগ টেট পাশ করে থাকা চাকরি প্রার্থীদের।
প্রসঙ্গত এর আগেও টেট পরীক্ষায় ফেল করেও শিক্ষক পদে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতিতে জর্জরিত রাজ্যের শাসক দল। যোগ্য ব্যক্তিদের সুযোগ না দিয়ে টাকার বিনিময়ে অযোগ্য ব্যক্তিদের হাতে কেন রাজ্যের শিক্ষাভার চলে যাচ্ছে? এর ফলে শিক্ষার মান কি আরও নিম্নতর হচ্ছে না? কেন রাজ্য জুড়ে চলছে এই দুর্নীতির রমরমা? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন এসব দেখেও চুপ করে রয়েছেন, কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছেন না কেন? একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষক পদপ্রার্থীরা।
Loading...
কোন মন্তব্য নেই