Header Ads

টানা ৩ দিনের ধর্মঘট ডেকেছে আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাংক ইউনিয়নের ঐক্যবদ্ধ মঞ্চ।

নজরবন্দি,বালুরঘাট: আজ থেকে টানা ৩ দিনের ধর্মঘট ডেকেছে আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাংকগগুলির কর্মী ও আধিকারিকদের বিভিন্ন ইউনিয়নের ঐক্যবদ্ধ মঞ্চ। গ্রামীণ ব্যাংকের বেসরকারিকরণ
রোধ,পেনশন চালু,কর্মরত অবস্থায় মৃত কর্মীর পোষ্যকে চাকুরী এবং অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণের দাবিতে দাবিতে টানা ৩ দিনের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মচারীরা।গ্রামীণ ব্যাংক কর্মচারীদের অভিযোগ, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা সংক্রান্ত আইন পরিবর্তন করে আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাংকের ৪৯ শতাংশ শেয়ার বেসরকারি হাতে তুলে দিতে চাইছে।ব্যাংকের পরিচালন বোর্ডে বেসরকারি শেয়ার মালিকদের বসাতে চাইছে সরকার।অথচ গ্রামীণ ব্যাংকগুলি গ্রামাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালন সংক্রান্ত আইন পরিবর্তন হলে বিপন্ন হবে সাধারণ মানুষের স্বার্থ।ভারতবর্ষ জুড়ে আজ থেকে টানা ৩ দিনের ধর্মঘটের ফলে গ্রামীণ অর্থ ব্যবস্থায় ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে দাবি অর্থনীতিবিদদের।পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলায়

ধর্মঘট সফল করতে ময়দানে নেমেছে সর্বস্তের কর্মীরা।উত্তর দিনাজপুর জেলায় বঙ্গীয় গ্রামীণ ব্যাংকের ৩৭ টি শাখা ও রিজিওনাল অফিস আজ থেকে বন্ধ থাকবে বলে দাবি কর্মীদের। অপরদিকে দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদা জেলা জুড়ে সাত দফা দাবীতে এই ব্যাংক ধর্মঘট চলছে বলে জানা গেছে। প্রসজ্ঞত উল্লেখ যে, ১৯৯৫ সালে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলির কর্মীদের পেনশন চালু হওয়ার পর থেকে গ্রামীণ ব্যাংক-এর কর্মী সংগঠনগুলি বিভিন্ন দাবী নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিল। বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাংকের এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশন-এর রিজিওনাল সম্পাদক প্রনব সরকার বলেন এর আগেও আমরা ১ দিনের ধর্মঘট করেছি।

সারাভারতের সমস্ত গ্রামীণ ব্যাংকের হেড অফিস এবং রিজিওনাল অফিসের মাধ্যমে তাদের দাবীর বিরুদ্ধে কেন্দ্র সরকারের আনা স্পেশাল পিটিশনের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রতিবাদপত্র পাঠানো হয়েছিল অর্থমন্ত্রী কাছে এবং গত ২০ই মার্চ দিল্লীতে ধর্ণা সমাবেশও করা হয়েছিল। এবার ৭দফা দাবীতে ৩দিনের ব্যাংক ধর্মঘট হচ্ছে। তিনি এও জানিয়েছেন যে তাদের দাবী মানা না হলে আগামীতে তারা আরো বৃহত্তর আন্দোলন করবে।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.