Header Ads

ষষ্ঠ বেতন কমিশন এখন বিশবাঁও জলে! এখনও বিভিন্ন দপ্তরগুলির সঙ্গে চলছে আলোচনা!

নজরবন্দি ব্যুরো: ডিএ নিয়ে এই রাজ্যের সরকারি কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ অনেকদিনের। বর্তমানে আদালতের রায়ের উপর ঝুলে আছে ডিএ-র ভাগ্য। বেশকিছু রাজ্য আগেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী তাদের কর্মীদের জন্যও বর্ধিত বেতন চালু করে দিয়েছে।
আবার কিছু রাজ্য ওই বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী পুরোটা না মানলেও ডিএ-র পরিমাণ কিছুটা বৃদ্ধি করে কেন্দ্রীয় কর্মীদের কাছাকাছি বেতন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। ২ টি রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরায় ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আলাদা। পশ্চিমবঙ্গে সরকারি কর্মীরা এখনও কেন্দ্রীয় কর্মীদের থেকে ৪৫ % কম ডিএ পাচ্ছেন।

ত্রিপুরাতে বামফ্রন্ট সরকার গত বছরের এপ্রিল মাসে তাদের পে কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করে বেতন বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের তুলনায় এই বেতন বৃদ্ধি অনেক কম। কেন্দ্রীয় কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি আগের বেতন কাঠামোর থেকে অন্তত ২.৫৭ গুণ বেড়েছে। ত্রিপুরার পে কমিটির সুপারিশে এটা বেড়েছে ২.২৫ শতাংশ। ত্রিপুরায় এখন একজন গ্রুপ ডি কর্মী চাকরিতে ঢুকলে সর্বনিম্ন ১৪ হাজার ৪০ টাকা বেতন পাবেন। সপ্তম পে কমিশনের সুপারিশে কেন্দ্রীয় সরকারের এই শ্রেণীর কর্মীদের ন্যূনতম ১৭ হাজার টাকা বেতন ধার্য করা হয়েছিল। কয়েক কিস্তি ডিএ দেওয়ার পর কেন্দ্রীয় কর্মীদের সর্বনিম্ন বেতন এখন আরও বেড়ে গিয়েছে।
অপরদিকে পশ্চিমবঙ্গে একজন গ্রুপ ডি কর্মী কাজে যোগ দিলে মূল বেতন, ডিএ, বাড়ি নিয়ে প্রায় ১৪ হাজার টাকা পান। অর্থাৎ এই রাজ্যের সরকারি কর্মীরা এখনও ত্রিপুরার কাছাকাছি আছেন। রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংগঠনগুলি অবশ্য এটাও মানতে চাইছে না।

তাদের বক্তব্য, ত্রিপুরার কর্মীরা গত বছরের এপ্রিল মাস থেকে বর্ধিত হারে বেতন পাচ্ছেন। যেখানে এই রাজ্যে গত জানুয়ারি মাসে ১৫ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি হয়ে একশো শতাংশ হওয়ার পর তারা ত্রিপুরার কাছাকাছি এসেছেন।
তবে বেতন প্রাপ্তির নিরিখে এই রাজ্যের কর্মীরা কতদিন ত্রিপুরার কাছাকাছি থাকতে পারবেন, তা নিয়েও সংশয় আছে।
ত্রিপুরার সরকারি কর্মীদের বেতন বৈষম্য ওখানকার ভোটের প্রচারে বড় ইস্যু করেছিল বিজেপি নেতৃত্ব। ক্ষমতায় এসেই বিজেপি সরকার কর্মীদের বেতনের বিষয়টি দেখতে বিশেষ একটি কমিটি গঠন করেছে।

এই রাজ্যে ষষ্ঠ বেতন কমিশন গঠিত হয়েছিল ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ। ৬ মাসের মধ্যে কমিশনকে রিপোর্ট দেবার নির্দেশ ছিল। একাধিক বার কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আপাতত চলতি বছরের নভেম্বর মাস পর্যন্ত কমিশনের মেয়াদ আছে। এই নিয়ে কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় এক পত্রিকাকে জানিয়েছেন, “কমিশনের মেয়াদ সরকার আরও বাড়ালেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা”।
কমিশন সূত্রে খবর, এখন বিভিন্ন দপ্তরগুলির সঙ্গে আলোচনার চলছে। আলোচনা শেষ হলেই তা জানানো হবে।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.