চলতি বছরেই রাজ্যের কর্মীরা পাবেন বকেয়া ডিএ? কি বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?
কেন্দ্রের কর্মচারীরা কয়েকদিন আগে আরও এক দফা বর্ধিত মহার্ঘ ভাতার সুবিধা পেয়েছেন। ফলে এই মুহূর্তে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের সাথে কেন্দ্রের কর্মীদের মহার্ঘ ভাতার ফারাক আরও বেড়ে গিয়ে দাঁড়ালো ৪৫ শতাংশ। শুধু কেন্দ্র নয়, দেশের একাধিক রাজ্যে সরকারি কর্মীরা বর্ধিত মহার্ঘ ভাতার সুবিধা পান। সেই সাথে রয়েছে সপ্তম বেতন কমিশনের বর্ধিত বেতন।“আল্লা না বড় রাম? এই চলে অবিরাম!” ৩টে জীবন, অরিন্দম বাবুর হাত কে ফিরিয়ে দেবে? এজেন্ট-রা? ভয় করছে… কিন্তু রাজ্যের ভাগ্যে এখনো জোটেনি ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুফল। এই অবস্থায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ওঠে, আদৌ কি বকেয়া পড়ে থাকা বিপুল পরিমাণ মহার্ঘ ভাতা ঘরে আনতে পারবেন কোনোদিন পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীরা?
প্রাপ্য বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার জন্য আদালতে মামলা করেছেন সরকারি কর্মচারীদের একাধিক সংগঠন। সেই মামলা এই মুহূর্তে আদালতের বিচারাধীন। কিন্তু যত সময় যাচ্ছে মামলার গতিবিধি ততই দুর্বোধ্য হচ্ছে। ডিএ দেওয়া নিয়ে রাজ্যের সরকারের অনীহা প্রথম থেকেই স্পষ্ট ছিল বলে মত সরকারি কর্মীদের। ডিএ সরকারের দয়ার দান, এরকম মন্তব্যও শোনা গেছে অতীতে রাজ্যের তরফে। খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, যতই 'ঘেউ ঘেউ' করেন কোনো লাভ নেই। এদিকে আদালতে ডিএ মামলা চলতে থাকলেও কোনো সমাধান সূত্র এখনো মেলেনি। ফলে কার্যত হতাশ সরকারি কর্মীরা।
ডিএ সরকারি কর্মীদের অধিকার কিনা, বা তা শুধুমাত্র রাজ্য সরকারের দয়ার দান কিনা তা-র চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। তাই আদালতের রায়ের অপেক্ষায় বিপুল সংখ্যক সরকারি কর্মী। তবে হতাশ হওয়ার যে এখনো কোনো কারণ নেই তা স্পষ্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়। তিনি জানান, ২০১৯-এর মধ্যে সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দেওয়া হবে। অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী, চলতি বছরেই বকেয়া মহার্ঘ ভাতা হাতে পেয়ে যাবেন কর্মীরা। ফলে প্রাপ্য আদায়ের আর বেশি দেরী নেই বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
Loading...
কোন মন্তব্য নেই