Header Ads

মায়ের মৃতদেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয় গাছে, পরীক্ষা দেওয়া হল না মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর।

রায়গঞ্জ ১৩ মার্চ : মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীর মাকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়ালো উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ থানার লোহুজগ্রাম এলাকায়। মায়ের মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে আর পরীক্ষা দিতে যেতে পারলো না ওই ছাত্রী, ববিতা দাস। মৃতার পদ্মরানী দাস।
মেয়ে ববিতা জানিয়েছে, প্রায় ১ বছরের বেশী সময় ধরে তার বাবা নিখোঁজ। মাঝে মাঝে পারিবারিক অশান্তির কারণে অনেক লাঞ্চনা সহ্য করতে হত পদ্মরানী দেবীকে। সোমবার এই রকমই এক অশান্তি নিয়ে স্বপন দাস নামের এক প্রতিবেশী অনেক রাত অবধি ঘরে বসে মায়ের সাথে কথা বলছিল। বিষয়টা অপছন্দ হওয়ায় জেগেই ছিল ববিতা। এরপর রাতে লোডশেডিং হয়ে যাওয়ার পরে ঘুমিয়ে পড়ে ববিতা। গভীর রাতে ঘুম ভাঙলে মাকে আর বিছানায় পায়নি ববিতা। সকালে মায়ের সন্ধানে এলাকায় খোজ খবরও করে ববিতা। কিন্তু মাকে না পেয়ে পরীক্ষা দেবার উদ্দ্যেশ্যে যায় সে।

পরীক্ষার জন্য যাওয়ার পথেই ববিতা খবর পায় মায়ের মৃতদেহ গলায় ফাস দেওয়া অবস্থায় বাড়ি থেকে ৩০০ মিটার দূরে একটু নির্জন এলাকায় ঝুলতে দেখা যাচ্ছে। ববিতার অভিযোগ, তার মাকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে কেউ। ঘটনার প্রকৃত তদন্তর জন্য দাবী করেছে সে। পাশাপাশি পদ্মরানী দেবীর মৃতদেহ যতটা নিচে মাটিতে হাটু লেগে ঝুলে ছিল, যত মাটি লেগেছিল পদ্মরানীর শরীরের নিচের অংশে তা দেখে এলাকা বাসীর অভিযোগ, পদ্মরানীর মৃত্যুর পেছনে গভীর রহস্য আছে।

ঘটনার খবর পেয়ে লোহুজগ্রামে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে পুলিশ। মৃতদেহ ময়না তদন্তের পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ববিতার অভিযোগ এর ভিত্তিতে তার ওই কাকু স্বপন দাস কে এলাকায় না পাওয়া যাওয়ায় রায়গঞ্জ থানার পুলিশও প্রাথমিকভাবে এই মৃত্যুর পেছনে বড়সড় রহস্য খুজে পাচ্ছে বলেই পুলিশ সুত্রে জানা গেছে।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.