"এবার ডিএ-র দাবি পুরণ করতে বাধ্য হবে 'বধির' সরকার"!! Najarbandi DA Exclusive
এই পরিস্থতিতে গত ২২ ফেব্রুয়ারি বকেয়া ডিএ-র দাবি জানিয়ে মুখ্য সচিবকে চিঠি দিলেন সরকারি কর্মীরা। ১৬ দফা দাবি জানিয়ে অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কার্যত যুদ্ধ ঘোষনা করলেন সরকারি কর্মীরা। পশ্চিমবঙ্গ ডিরেক্টরেট এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এদিন ঘোষনা করা হয়, বধির সরকারকে তাদের দাবি মানতে বাধ্য করাবেন তারা।
বর্তমানে কেন্দ্রীয় হারে ঘোষনা অনুযায়ী ৪২ শতাংশ ডিএ বকেয়া পড়ে রয়েছে সরকারি কর্মীদের। খুব শিগগিরই তা ৫০ শতাংশ ছুঁয়ে ফেলবে। বিপুল এই ডিএ দেওয়ার কোনো ইচ্ছেই কি নেই রাজ্য সরকারের? আদালতে সরকারি আইনজীবি একের পর এক বাহানা তুলছেন। ডিএ না দেওয়ার স্বপক্ষে আনা হচ্ছে নানা যুক্তি। তবে আশার বিষয় আদালত এতদিন অবধি রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের ডিএ পাওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিতই দিয়ে এসেছে।
সামনেই পঞ্চায়েত ভোট? এদিকে প্রাপ্য ডিএ না পেয়ে ক্ষোভ বাড়ছে বিপুল সংখ্যক সরকারি কর্মীদের অন্দরে, যা শাসক দলের ভোটব্যাঙ্কে আঘাত করতে পারে। এই অবস্থায় রাজ্য সরকারি কর্মীদের মন ভোলাতে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ কি করবে না সরকার? একটি সূত্রের খবর, ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে পঞ্চায়েতের আগে কিছু পরিমাণ বকেয়া ডিএ মেটাতে পারে রাজ্য সরকার। সেই পরিমাণ হয়তো মোট বকেয়ার ২ থেকে ৩ শতাংশ। তবে সেক্ষেত্রেও নিশ্চয়তা নেই। আদালতে ডিএ মামলা যদি রাজ্য সরকারের একেবারেই বিপক্ষে যায় তাহলে হয়তো এই ছিটেফোটা সরকারি কর্মীদের দিতে বাধ্য হবে সরকার।
এই কারণে লাগাতার আন্দোলন, বিক্ষোভ এবং সেই সাথে আদালতে মামলার চাপ- সবদিক থেকে আক্রমণ শাণিয়ে রাজ্য সরকারকে কোনঠাসা করে দীর্ঘদিনের প্রাপ্য বকেয়া ডিএ আদায়ের লক্ষ্যে মরিয়া রাজ্যের সরকারি কর্মীরা।
Loading...
কোন মন্তব্য নেই