Header Ads

সিপিআইএম বিধায়ক কে মারধর পুলিশের সামনেই। অবশেষে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা। Breaking News

নজরবন্দি ব্যুরোঃ গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার কাঠামোকে এক পরিহাসে পরিণত করেছে তৃণমূল সরকার। রাজ্যবাসীর প্রতিবাদের কন্ঠরোধ করে ভীতি প্রদর্শন করে একনায়ক তান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা চলছে এই রাজ্যে। বিরোধীদের এই অভিযোগ সত্যি করে কয়েকদিন আগে গণতন্ত্রকে আরও একবার প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস।
ডিপিএল তাপবিদ্যুৎ কারখানায় অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের প্রতিবাদে ডেপুটেশন কর্মসূচিতে পথে নেমেছিল বাম গণ সংগঠন গুলি। দুর্গাপুরে ডিপিএল-এর গেটের সামনে পৌঁছলে প্রতিবাদ কারীদের মিছিলে হামলা চালায় তৃণমূলি দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ। বাশ, ইট, পাথর নিয়ে আক্রমণ করা হয় মিছিলের ওপর। আহত হন সিপিআইএম বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় সহ প্রায় ১০ জন প্রতিবাদী বাম কর্মী।

এই ঘটনার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের তীব্র সমালোচনা করেছেন আহত বাম বিধায়ক সন্তোষ দেবরায়। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের সমস্যাকে তুলে ধরে বর্ধিত বিদ্যুৎ বিলের প্রতিবাদ জানাতে পথে নেমেছিলেন তারা।
পুলিশের সামনে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মিছিলের ওপর আক্রমণ করে। অথচ নীরব দর্শক পুলিশ! এর পরেই সন্তোষ দেবরায়কে দেখতে গিয়েছিলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন। তিনি বলেছিলেন দোষী শাস্তি পাবে। আর শেষ পর্যন্ত বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় কে আক্রমন করার জন্যে নয়ন মালাকার নামে এক তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ৩২৫, ৩৭৯, ৩২৩ ও ৩৪১ ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

উল্লেখ্য গতকাল দূর্গাপুরে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের আক্রমণে আহত বিধায়ক সন্তোষ দেবরায়-কে মিশন হাসপাতালে গিয়ে দেখে এসেছেন শ্যামল চক্রবর্তী, সুজন চক্রবর্তী, প্রাক্তন এমপি বংশগোপাল চৌধুরী, তন্ময় ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য বাম নেতৃবৃন্দ।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.