Header Ads

টেট 'ফেল' করেও শিক্ষক! পাশ করেও কারো ঠাঁই অনশন মঞ্চে! দুর্নীতি প্রকাশ্যে! কি উত্তর দেবেন মমতা?

নজরবন্দি ব্যুরোঃ রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একাধিক গাফিলতি এবং দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন সময়ে। কখনো ভুলে ভরা টেটের উত্তরপত্র নিয়ে আদালতের কাছে ভর্ৎসিত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, তো কখনো আবার উঠছে টাকার বিনিময়ে অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ। চাকরির পরীক্ষায় ফেল করা প্রার্থীকে শিক্ষক পদে নিয়োগের প্রমাণ মিললো এবার হাতেনাতে। আর এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরেই হাইকোর্টে মামলা করে প্যানেল পুর্নবিন্যাসের দাবি করলেন এক পরীক্ষার্থী।
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সমস্যায় যখন জর্জরিত সরকার তখন টেট দুর্নীতির অভিযোগে বেকায়দায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। টেট পরীক্ষায় পাশ না করেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগ উঠলো এক পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। পল্লবী মান্না নামে এক চাকরি প্রার্থী এই মুহূর্তে বেড়াবেড়ি পোস্ট অফিসের মধুসূদনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত। তার পরীক্ষায় রোল নম্বর ছিল ১৩০০৮২২৬৫। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা টেটে সফল প্রার্থীদের তালিকায় তার নাম ছিল ৯ নম্বরে। অথচ আরটিআই রিপোর্টে ওই পরীক্ষার্থীকে 'ফেল' বলে উল্লেখ করা হয়েছে স্পষ্ট ভাবে।




নিয়োগ নিয়ে এই দুর্নীতির প্রমাণ সামনে আসতেই আদালতে মামলা করেছেন এক চাকরি প্রার্থী। টেটে পাশ না করা সত্ত্বেও ওই প্রার্থীকে নিয়োগ পত্র দেওয়া হল কিভাবে? প্রশ্ন তুলছেন টেট পাশ করা বৈধ চাকরি প্রার্থীরা। এদিকে দিনের পর দিন টেট পাশ করেও নিয়োগ পত্র পাচ্ছেন না প্রকৃত টেট পাশ শিক্ষকরা। অথচ অযোগ্য প্রার্থীরাও বহাল তবিয়তে সুবিধা ভোগ করছেন। কেন এই দুর্নীতি? কেন এতো স্বচ্ছতার অভাব?

নিয়োগপত্র না পেয়ে অনশনে বসেছেন মালদা জেলার প্রাথমিক শিক্ষক পদের দাবিদার চাকরি প্রার্থীরা। আদালত তাদের নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে। তা সত্ত্বেও তাদের নিয়োগ করছেনা পর্ষদ তথা রাজ্য সরকার। অথচ টেটে ফেল করা চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগের ব্যাপারে উৎসাহের ঘাটতি নেই পর্ষদের, অভিযোগ হবু শিক্ষকদের। অভিযোগের বানে জর্জরিত পর্ষদ এই মুহূর্তে চরম বেকায়দায়।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.