Header Ads

প্রসঙ্গ ২০১৩ পঞ্চায়েত নির্বাচন, প্রবাদ বলে ভুতের মুখে রামনাম! তখন কোথায় ছিল প্রতিবাদের ভাষা?

নজরবন্দি ব্যুরোঃ ভূতের মুখে রাম নাম! অত্যন্ত প্রচলিত একটি বাক্য। এইবার সেই বাক্য যেন অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাচ্ছে মুকুল রায়ের বয়ানে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়া খবর অনুযায়ী মুকুল রায় নাকি তথ্য দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন পত্র জমাদেওয়াটাই নাকি সব থেকে বড় ব্যাপার।
এরাজ্যে ৪৮ হাজার গ্রাম পঞ্চায়েত, সমিতি প্রায় ৯ হাজার আর ৮০০র বেশি জেলা পরিষদের আসনে নির্বাচন হবে। মুকুল বাবুর কথা অনুযায়ী ২০০৩ সাল অর্থাৎ তখন বাম জমানা, ৭০০০ এর বেশি আসনে নাকি নির্বাচনই হয়নি, ২০০৮ তখনও বাম জমানা ২৭৬২ টি আসনে। ব্যাস তাঁর পরেই পরিবর্তন আসে রাজ্যে যার অন্যতম মূল কাণ্ডারী ছিলেন খোদ মুকুল বাবু নিজে। এখন মুকুল রায়ের স্বগোদক্তি পরিবর্তনের সরকার আসার পর বাম জমানার শেষ নির্বাচনকে ছাপিয়ে নির্বাচন না হওয়া আসনের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার!!

মুকুল বাবুর আরও তথ্য ২০০৩ এবং ২০০৮ এই দুই বাম জমানার পঞ্চায়েত নির্বাচনে মৃত্যু হয় যথাক্রমে প্রায় ১২০ এবং ৮০ জনের। পরিবর্তনের সরকার আসার পর অর্থাৎ মুকুল বাবুদের জমানায় ২০১৩ সালের নির্বাচনে মৃত্যু হয় ৬৭ জনের। পরিবর্তনের ডাক দেওয়া হলেও ২০১৩-র নির্বাচনে মৃত্যুর এই সংখ্যা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তৎকালীন শাসক দলে থাকা বিজেপির এই নেতা!
মুকুল বাবু এখন বিজেপি নেতা, সময় এবং পরিস্থিতি বদলেছে তাই এখন তাঁর লক্ষ্য সচ্ছ নির্বাচন!

তাই মনোনয়ন জমা দিতে যাতে কোনও বাধার সৃষ্টি না হয়, তার জন্য রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানাবে বিজেপি বলে জানিয়েছেন তিনি। কেননা নির্বাচন হলেই, বহু আসনে তৃণমূলের হার নিশ্চিত বলে বিশ্বাস করেন ত্মুকুল রায়।
এখানেই প্রশ্ন উঠছে ২০১৩ নির্বাচনে যে ৬৭ জনের মৃত্যু বা ৫-৬ হাজার আসনে ভোট না হওয়ার এখন সমালোচনা করছেন মুকুল রায়, তখন তিনি কোথায় ছিলেন? প্রতিবাদ করেননি কেন? দল ছেড়েছেন বলবেন! কবে? প্রায় সাড়ে ৪ বছর পর। এতদিন লাগল প্রতিবাদ করতে? প্রশ্ন কিন্তু উঠবেই।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.