সাধারণ সম্পাদকের পদে থাকাই এখন ইয়েচুরির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ! বিশেষ প্রতিবেদন।
কিন্তু রাজনৈতিক মহলে একটা প্রশ্ন ঘুরছে দুদিন ধরে। প্রকাশ কারাতের একটি গোপন ইচ্ছে আছে! সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইয়েচুরিকে হটিয়ে নিজের পছন্দের কাউকে দলের সাধারণ সম্পাদক পদে বসাতে চান তিনি। সে নিজের স্ত্রী বৃন্দা কারাতই হন, বা কেরালার রামচন্দ্র পিল্লাই বা অন্ধ্রের বি ভি রাঘভুলু হন।
৩ বারের বেশি কেউ দলের কোনো একটি পদে থাকতে পারবেন না। আর সেই ফর্মুলা অনুসারে একটা সময় সাধারণ সম্পাদকের পদ ছাড়তে হয়েছিল কারাতকে। গত পার্টি কংগ্রেসে নিজের পছন্দের এক পুতুল লিডারকে ওই পদে বসাতে চেয়েছিলেন কারাত। শেষ মুহূর্তে কেরালার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভি এস অচ্চুতানন্দের মতামতকে সম্মান জানিয়ে সীতারাম ইয়েচুরিকে ওই পদে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন কারাত। সুতরাং প্রথম থেকেই সীতারাম ছিলেন সংখ্যালঘু সাধারণ সম্পাদক। রাজ্য সভার নিজের মনোনয়ন হোক বা কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার কোনো বিষয় হোক বা দলের কোনো উন্নয়নের বিষয় হোক, সবেতেই কারাত-পন্থীদের চাপে পড়তে হয়েছে তাঁকে। কাজেই এই অপমান নতুন নয়।
যেটা নতুন বিষয় তা হল, এবছর এপ্রিলে পার্টি কংগ্রেসে কাকে সীতারামের বিরুদ্ধে দাঁড় করাবেন কারাতরা? যদি কারাতের সমর্থিত কোনো প্রার্থী ইয়েচুরির বিরুদ্ধে সিপিআইএম-এর সাংগঠনিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তাহলে কিন্তু সীতারাম ইয়েচুরির ওই পদে থাকার সম্ভাবনা প্রায় নেই, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বোদ্ধারা।
কারণ যতবার কোনো বিতর্কের অবসান ঘটাতে ভোটাভুটিতে গিয়েছিল পলিটব্যুরো ততবারই হার হয়েছে সীতারাম ইয়েচুরির। সেই পরিসংখ্যানকে মাথায় রেখে বলা যায়, যদি কারাত তাঁর মনোনীত কোনো প্রার্থীকে সীতারামের বিরুদ্ধে দাঁড় করান তাহলে সীতারাম ইয়েচুরির হার প্রায় নিশ্চিত।
Loading...
কোন মন্তব্য নেই