নজরবন্দি ব্যুরো: গোটা দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। মূলত করোনা সংক্রমণ আটকাতে এই লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। ১৭ মে পর্যন্ত দেশে বাড়ল লকডাউনের মেয়াদ, এদিন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। দেশের ক্রমবর্ধমান আক্রান্তের সংখ্যা দেখে উদবিঘ্ন কেন্দ্র আপাতত লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে দিল ৪ মের পর আরও ২ সপ্তাহ। আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে লকডাউন বাড়ান হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এইরকম এক অস্থির সময়ে রাজ্যে রেশন বণ্টন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন। এই রেশন বণ্টন ঘিরে রাজ্যের একাধিক এলাকা থেকে অশান্তির খবর পাওয়া যাচ্ছিল। নবান্ন থেকে পাওয়া খবর অনুসারে, এবার এই সমস্যার সমাধান করতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্য প্রশাসন। যেখানে বিক্ষোভ বা অশান্তির পরিবেশ তৈরি হবে সেখানে বন্ধ থাকবে রেশন দোকান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পরে শুরু হবে রেশন বণ্টন প্রক্রিয়া।
এই রেশন বণ্টন নিয়ে কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের একাধিক জেলা থেকে নানা অশান্তির খবর আসছিল। এনিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও মুখ্যমন্ত্রী এবং খাদ্যমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করেছেন। এর জেরে চরম অস্বস্তিতে পড়েছিল রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যের রেশন বণ্টনের সমস্যার কথা জানার পর থেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে এনিয়ে একটা বৈঠক হয়। এর মাঝেই খাদ্যসচিব মনোজ আগরওয়ালকে সরিয়ে দেওয়া হয়। রেশন ব্যবস্থা নিয়ে আর কোনও বিক্ষোভ হোক বা অভিযোগ আসুক তা চাইছে না রাজ্য সরকার। তাই এবার রেশন ব্যবস্থা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে নবান্ন। যেখানে বিক্ষোভ হবে সেখানকার পরিস্থিতির উপর নজর রাখবে রাজ্য প্রশাসন। যতক্ষণ না পর্যন্ত সমস্যা মিটছে, ততক্ষণ সেখানে রেশন বণ্টন প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে। পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পরই ফের রেশন সামগ্রী দেওয়া শুরু হবে।
কোন মন্তব্য নেই