Header Ads

ডোমকলে করোনা আক্রান্ত দুই ব্যক্তি মানেনি কোনকিছুই, আতঙ্ক ডোমকল জুড়ে, এখনো অধরা এক জন

নজরবন্দি ব্যুরোঃ হোম কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশ দেওয়ার পরও দুই ব্যক্তি ঘুরে বেড়িয়েছে সারা এলাকা। মানে নি কোনরকম সরকারি নিষেধাজ্ঞা। পরে সেই দুই ব্যক্তির দেহে মিলল মারণ ভাইরাস করোনা। আর যা নিয়ে ইতিমধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে মুর্শিদাবাদের ডোমকলে। ইতিমধ্যেই ওই দুই ব্যক্তিকে করোনা হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে। তাদের প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে আসা বহু মানুষকেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানোর পাশাপাশি লালা রস সংগ্রহ করে সোয়াব টেস্টের জন্য পাঠানো হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, বোমায় জখম একজনকে নিয়ে ওই দুই ব্যক্তি গিয়ে ছিলেন কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে। গত ৪ মে ওই দুজন কোলকাতা থেকে ডোমকলে ফিরে আসেন।
এরপর তাদের হুমকো আইনস্টাইনের নির্দেশ দেয় প্রশাসন। তাদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছিল মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ১১মে সেই রিপোর্টে করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। এর পরই তড়িঘড়ি ওই দুই ব্যক্তিকে বহরমপুর মাতৃসদন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই দুই ব্যক্তির করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর চাউর হতেই গোটা এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ সরকার থেকে হোম কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশ দেওয়া হলেও কলকাতা থেকে ফেরার পর ওই দুজন কোন নির্দেশ মানেনি। এমনকি সাধারণ মানুষের মতো বাজারে গিয়েছে। গোটা এলাকা ঘুরে বেরিয়েছে। মসজিদের নামাজ পড়ার পাশাপাশি রেশানও তুলেছে দুজন। এমনকি সম্প্রতি এলাকার এক ব্যক্তির মৃত্যু হলে শেষকৃত্যে কবরস্থানেও উপস্থিত ছিল ওই দুই ব্যক্তি।
 যেহেতু সারা এলাকা ঘুরে বেরিয়েছে তারা ফলে এলাকায় ব্যাপক আকারে সংক্রমণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। মুর্শিদাবাদ স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস জানিয়েছেন "ওই দুজনকেই আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্যকর্মীরা পৌঁছেছে এলাকায়। দুই আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের ইতিমধ্যেই শনাক্ত করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি তাদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে সোয়াব পরীক্ষাও করা হবে।" দমকল পুরসভার চেয়ারম্যান জাফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, 'আক্রান্তদের এলাকায় ইতিমধ্যেই স্যানিটারি করার কাজ শুরু হয়েছে। এমনকি রাতেও চলছে স্যানিটাইজ করার কাজ।' অন্যদিকে ওই দুই ব্যক্তির বেপরোয়া আচরণ নিয়ে মুখ খুলেছেন স্থানীয় ইমাম সংগঠনের সংগঠক নিজাম উদ্দিন বিশ্বাস বলেন " বিষয়টি খবর পাওয়ার পর স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম। কেউ কোনও গুরুত্ব দেয়নি। আমরা নিজেরাও বুঝিয়ে ছিলাম, আমাদের কথায় পাত্তাই দেয়নি।" এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় গোটা ডোমকল জুড়ে ব্যাপক আকারে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এই দুই ব্যক্তির দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের জন্য এলাকায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশ কিছুটা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.