Header Ads

করোনা বিভ্রাট; প্রশাসনিক চাপান উতোরের শিকার শিক্ষক সংগঠনের নেত্রী পৃথার পরিবার।

নজরবন্দি ব্যুরোঃ যাদবপুর বিধানসভা এলাকার ১০১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা পরিতোষ কুমার বিশ্বাস(১৮ এ পি সি পার্ক,বাঘাযতীন,কলকাতা-৮৬) গত ৭ ই এপ্রিল জন্ডিস উপসর্গ নিয়ে আইরীশ হাসপাতালে ভর্তি হন।পরবর্তিকালে কালে ক্যান্সার ধরা পড়লে সুচিকিত্সার জন্য তাঁকে সল্টলেক Apollo হাসপাতালে ভর্তি কর হয় চোদ্দই এপ্রিল। ষোলই এপ্রিল তার একটি ই আর সি টি হয়।চব্বিশ তারিখ হসপিটাল জানায় তার কার্ডিয়াক অ্যারেশ্ট হয়েছে এবং শ্বাসকষ্ট হচ্ছে।ছাব্বিশ তারিখ স্বাস্থ দফতর সুত্রে পরিবার জানতে পারে তিনি কভিড পসিটিভ।পরিবারকে চোদ্দদিনের কোয়ারেণ্টাইনে থাকতে বলা হয়।পাড়া সিল করা হয়।
পরের দিন অর্থাৎ সাতাশে এপ্রিল হাসপাতাল জানায় তিনি কোভিড ১৯ নেগেটিভ ।তার তৃতীয টেস্ট ও নেগেটিভ আসে। ইতিমধ্যে পুলিশ জানায় যে চোদ্দদিনের বদলে আঠাশ দিন অন্তরিন থাকতে হবে পরিবার সহ পাড়ার লোককে।বাধ্য হয়ে অন্য হসপিটালে বৃদ্ধ ক্যান্সার রোগী কে রাখা হয়।তারপরেই প্রশাসনিক স্তরে শুরু হয়েছে চাপান উতোর ।পুলিশ বলছে কোয়ারেন্টাইন তোলা স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্ব ,স্বাস্থ্য দফতর বলছে পুলিশ তুলবে।কখনো চোদ্দ,কখনোএকুশ,কখনো বা আঠাশ দিনের মেয়াদ বলা হচ্ছে।আজ ২৪ দিন অতিক্রান্ত,চরম ভোগান্তিতে পরিবার সহ পাড়ার মানুষজন।হাসপাতালে বসে ছেলেকে চোখে দেখতে না পেয়ে মানসিক যন্ত্রণায ভুগছেন বৃদ্ধ।এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে সঠিক নিয়ম কি? কিভাবে এই চাপান উতোর মিটবে? এই দায়িত্ব প্রশাসনের কোন দফতরের? যাদবপুর বিধানসভা এলাকার ১০১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা পরিতোষ কুমার বিশ্বাস আর কেউন নন তিনি শিক্ষক সংগঠন উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোশিয়েসনের সম্পাদিকা পৃথা বিশ্বাসের বাবা!
পৃথার অভিযোগ "বাবাকে এখনো বাড়ি ফেরাতে পারিনি। তেইশ দিন অতিক্রান্ত।পুলিশ স্বাস্থ্য দফতর করপোরেশন কেউ সঠিক নিয়ম বলতে পারছে না বা চাইছে না কারন টেলিফোনে সিএম এইচ ও বলছেন হাসপাতাল ক্লিনিক্যলি কোভিড পসিটিভ হলেও সোয়াব টেস্ট নেগেটিভ মানে ওনার কোরোনা হয় নি সেক্ষেত্রে অন্তরিন থাকার দরকার নেই, অথচ এই কথা তিনি পুলিশ কে জানবেন না ,স্বাস্থ্য দফতর নেগেটিভ কে নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ এই অবস্থায় এখনও হাসপাতালে বসে বাড়ি ফিরবার দিন গুনছেন বাবা। আমাদের হাতে যে ডকুমেন্ট আছে তাতে একটা তে চোদ্দ দিন আরেকটতে positiveএর ক্ষেত্রে সতের দিন হোম আইসলেশনের কথা বল আছে। প্রশাসনের এই দূর্ভাগ্যজনক আচরনে বাবার ক্যান্সারের চিকিৎসা করা যাচ্ছে না। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ছেন বাবা, আমরাও।"
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.