Header Ads

সহ নাগরিকের মৃত্যুর মিছিল বাজি ফাটিয়ে সেলিব্রেশান করতে হয়! এরা দেশকে ভালবাসে প্রধানমন্ত্রী?

অরুনাভ সেন, নজরবন্দিঃ করোনা ভাইরাসের অন্ধকারময় পরিস্থিতি কাটাতে রবিবার রাত ৯টার সময় ৯ মিনিটের জন্যে প্রদীপ, মোমবাতি, টর্চ বা মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালানোর অনুরোধ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷আমাদের একজোট করতেই ঘরের আলো নিভিয়ে ৯ মিনিটের জন্যে ওই কাজ করার অনুরোধ করেছেন৷উনি একতার বার্তা দিতে চেয়েছেন,দেশের মানুষকে একজোট করতে চেয়েছিলেন৷হ্যাঁ অসংখ্য মানুষ সেই বার্তাটা সম্মান ও শ্রদ্ধা জ্বালিয়ে লিভিয়ে দিয়েছিল বাড়ির আলো৷অনেক বাড়ি সেজে উঠেছিল প্রদ্বীপের আলোয়,মোমবাতির শিখায়,মোবাইলের টর্চে৷আবহ ছিল দীপাবলীর কিন্তু বার্তা ছিল একতার৷
দেশের স্বার্থে যদি নাগরিক প্রধামমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে বাড়ির আলো কয়েক মিনিটের জন্য আলো নিভিয়ে,প্রদ্বীপ জ্বালান,মোমবাতিগুলো তুলসি মঞ্জপ থেকে বাড়ির ছাদে,চমৎকার ভাবে জ্বালিয়ে মনেপ্রানে দেশাত্ববোধে উদ্বুদ্ধ হন,অনুপ্রানিত হন,আবেগে বিহ্বল হন আমাদের কারও আপত্তি থাকার কথা নয়৷কিছু প্রশ্ন বিরোধীরা করলেও সেই প্রশ্নকে দেশের বেশীরভাগ মানুষ গুরুত্ব দেন নি এটা স্পষ্ট৷সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখে পড়েছে সাধারন মানুষ থেকে সেলিব্রিটিদের প্রদ্বীপ প্রজ্জ্বলনের ছবি,মোমবাতির আলো স্নিগ্ধতা৷তবে চোখে পড়েছে কিছু উৎশৃঙ্খলতার অন্তন্ত নিন্মমানের বহিঃপ্রকাশ৷কিছু মানুষের বিকৃত রূচি৷চোখে পড়েছে কিছু মানুষের একতা পালনের নামে ভন্ডামি৷চোখে পড়েছে কিছু মানুষের অতি উৎসাহ নয় অতীব উৎশৃঙ্খলতা৷চলেছে দেদার বাজি ফাটানো আর পটকার কান ফাটানো অসহ্য আওয়াজ৷বাজির সুতীব্র শব্দে কান পাতা দায় হয়ে যাচ্ছিল,পরিস্থিতির আহবটা বদলে যাচ্ছিল দ্রুত৷দেশাত্ববোধে উদ্বুদ্ধ মানুষেরা অতি উৎশৃঙ্খলতায় ভরপুর বাজি আর পটকা ফাটানো মানুষের এহেন একজোট হওয়ার ভঙ্গিমা দেখে উষ্মা প্রকাশ করেই বলছিলেন মোদিজীর গোটা উদ্যোগটা বাংলায় বিরোধীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিল৷ভারতে করোনা ভাইরাস থামার লক্ষন দেখাচ্ছেই না,বরং আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে-লাফিয়ে৷
ভারতে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩৫০০ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৮৩ জন, চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ২৭৫ জনকে,যদিও পরিসংখ্যান বদলে গিয়েছে৷আক্রান্তের সংখ্যা যেমন আজ ৪০০০,তেমনই মত্যুর সংখ্যা পেরিয়েছে,বদলে যাচ্ছে প্রতি মুহূর্তের আপডেট৷প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই করোনার বিরুদ্ধে মানুষকে একতাবদ্ধ করতে চেয়েছিলেন৷তিনি চেয়েছিলেন বিশ্বের কাছে মুখ উজ্জ্বল করুক৷ভারত,জাতি হিসেবে,দেশ হিসেবে বিশ্বের কাছে প্রমান করুক বহুত্ববাদ আমাদের সংস্কৃতি,কৃষ্টি আমাদের ঐতিহ্য৷ দেশের এই লড়াইয়ে যেন আমরা সবাই সরকারের পাশে,থাকি প্রধানমন্ত্রীর পাশে থাকি,নরেন্দ্র মোদির পাশে থাকি৷কিন্তু কিছু মানুষের উৎশৃঙ্খলতা আর বাজি-পটকা ফাটানো সহযোগে অতি উৎশৃঙ্খলতায় সবাই হতবাক করেছে, তারা বলছেন মোদি কী সবাইকে পটকা ফাটাতে,বাজি ফাটিয়ে একতার প্রমান দিতে বলেছিলেন?মোদি কি বলেছিলেন নাকি এমন কোনও বার্তায় উদ্ধুদ্ধ করেছিলেন গোটা দেশের মানুষকে? ক্ষুব্ধ মানুষগুলির বক্তব্য খুব পরিস্কার, দেশের মানুষ মরছে,আর কিছু মানুষ নিশ্চয়ই আনন্দে বাজি ফাটিয়েছেন!চমৎকার!!!বাহবা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা আমরা৷ আর আমরা কি দেখলাম ?দেখলাম সহ নাগরিকের মৃত্যুর মিছিল,আর কিছু মানুষের কান ফাটানো আওয়াজে বাজি ফাটিয়ে সেলিব্রেশান দেখলাম৷আমাদের প্রশ্ন এরা ঠিক কারা?এরা কাকে ভালবাসে?দেশকে?প্রধনমন্ত্রীকে?নাকি জাতিকে?এদের ব্যবহারে,আনন্দের বহিঃপ্রকাশে অন্তত কিছুই প্রমান হয় না৷
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.