হিংসা থামাতে না পারলে পদত্যাগ করুকঃ নাম না করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তোপ রজনীকান্তের
নজরবন্দি ব্যুরোঃ বেশ কিছুদিন আগেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের প্রশংসা করতে শোনা গিয়েছিল দক্ষিন ভারতের অন্যতম সুপাস্টার রজনীকান্ত। কিন্তু এবার দিল্লির অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন অভিনেতা। বুধবার কেন্দ্র সরকারকে লাগাতার কটাক্ষ করে রজনীকান্ত বলেন " দিল্লির এই হিংসার ঘটনা কেন্দ্র সরকারের ব্যর্থতা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক যদি হিংসার মোকাবিলা না করতে পারে তবে পদত্যাগ করা উচিত।" নাম না করেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিশানা করতে ছাড়েননি রজনীকান্ত। বুধবার নিজের বাড়িতেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি রজনীকান্ত বলেন "দিল্লীতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব কেন্দ্র সরকারের। সেই দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ সরকার। দেশের জনগণকে জবাব দিতে হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন দিল্লিতে ছিলেন সেই সময়ে কিভাবে এমন হিংসাত্মক ঘটনা ঘটল! এর দায় কেন্দ্রকেই নিতে হবে।"
প্রসঙ্গত এখনও উত্তপ্ত দিল্লি, মঙ্গলবার থেকেই দফায় দফায় উত্তেজনা দিল্লিতে। সিএএ বিরোধী বিক্ষোভে সিএএ পন্থীদের হামলা, পাল্টা দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল দিল্লি। কোথাও পোড়ানো হল গাড়ি কোথাও বা দোকান। বিশেষ করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভজনপুরা, মউজপুর, কারওয়াল নগর সহ গোটা উত্তরপূর্ব দিল্লি। বেশ কয়েকটি জায়গায় চলে গুলিও। বুধবার থেকে হিংসাত্মক ভঙ্গিতে চলতে থাকে তান্ডব। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। বুধবারই হিংসার পথ ছেড়ে দিল্লির নাগরিকদের শান্ত থাকার আবেদন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আরবিন্দ কেজরীওয়াল। তিনি বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে দিল্লিতে সেনা শাসন নিয়েও মতনৈক্য তৈরি হয় দুজনের। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতিরা। ইতিমধ্যেই হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন দেশের মুখ্য নিরাপত্তা উপদেষ্টা। তাঁকে ঘিরে ক্ষোভ উগরে দেন এলাকার বাসিন্দারা। রাজধানীর প্রায় সর্বত্র টহল দিচ্ছে আধা সেনা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক যদি হিংসার মোকাবিলা না করতে পারে তবে পদত্যাগ করা উচিত।" নাম না করেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিশানা করতে ছাড়েননি রজনীকান্ত। বুধবার নিজের বাড়িতেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি রজনীকান্ত বলেন "দিল্লীতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব কেন্দ্র সরকারের। সেই দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ সরকার। দেশের জনগণকে জবাব দিতে হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন দিল্লিতে ছিলেন সেই সময়ে কিভাবে এমন হিংসাত্মক ঘটনা ঘটল! এর দায় কেন্দ্রকেই নিতে হবে।"

No comments