Header Ads

সিএএ বিরোধিতা মানেই দেশদ্রোহিতা নয়, জানিয়ে দিল বোম্বে হাইকোর্ট

নজরবন্দি ব্যুরোঃ সরকারি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা মানেই দেশদ্রোহী বা বিশ্বাসঘাতক নয়। এমনটাই জানিয়ে দিল বোম্বে হাইকোর্ট। সিএএ নিয়ে আন্দোলন সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চ। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে চলছে অবস্থান-বিক্ষোভ। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের বিডে সিএএ বিরোধী একটি আন্দোলনের ডাক দেয়া হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে আন্দোলনের অনুমতি না মেলায় এক বিক্ষোভকারী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। শুনানিতে বিচারপতি জানিয়ে দেন কোন মানুষ নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নামতেই পারেন। সেটা তাঁর অধিকারের মধ্যে পড়ে।
আর তাঁদের স্বার্থ যাতে সুরক্ষিত থাকে সে ব্যাপারটি দেখার দায়িত্ব আদালতের। এদিনের শুনানিতে গান্ধীজীর পথেই হাঁটলেন বিচারপতিরা। গান্ধীজীর অহিংসা নীতিকে টেনে আনলেন বিচারপতিরা। শুনানিতে আদালত জানিয়েছে অহিংস পথে কোন আন্দোলনই অবদমন করা যায় না। দেশের আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে কাউকে দেশদ্রোহী কিংবা বিশ্বাসঘাতক কোন ভাবেই বলা চলবে না। প্রশাসনের আধিকারিকদেরকেও কড়া বার্তা দেয় বোম্বে হাইকোর্ট। মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট উল্লেখ করে ভারতের স্বাধীনতা এসেছিল অহিংসার পথ ধরেই। এখন সিএএ-এর প্রতিবাদে মানুষজন অহিংস পথকেই বেছে নিয়েছেন।
তাই ভারতের মত দেশে অহিংস আন্দোলনকে কোনভাবেই দমন করা চলবে না। এদিনের হাইকোর্টের ঘোষণার পর থেকেই কিছুটা হলেও স্বস্তিতে রয়েছেন মহারাষ্ট্রের সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীরা। উল্লেখ্য যখন সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও নাগরিক পঞ্জির বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে তারমাঝে একাধিকবার বিজেপি নেতাদের টার্গেটে চলে এসেছিলেন আন্দোলনকারীরা। কেউ কেউ প্রকাশ্য জনসভায় থেকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ ‘দেশবিরোধী’ বলে আন্দোলনকারীদের আক্রমণ করেছেন। সম্প্রতি দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির একটি জনসভা থেকে এক নেতা আন্দোলনকারীদের গুলি করে মারার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এই আবহে বোম্বে হাইকোর্টের এদিনের নির্দেশ নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.