নজরবন্দি ব্যুরোঃ কৃমির প্রধান লক্ষণ এনাস বা মলদ্বারে চুলকানি। অনেক সময় কৃমি স্টুলের সঙ্গে বেরিয়ে আসতে পারে। কৃমি থেকে অল্প পেটব্যথা হতে পারে। তবে কারও পেটে যদি হাজার হাজার কৃমি থাকে, তা হলে তার কারণে অবস্ট্রাকশনের সৃষ্টি হয়।
এর থেকে পেটে ব্যথা হতে পারে। তবে এটা বিরল ক্ষেত্রেই দেখা যায়।
কৃমির সংক্রমণ প্রতিরোধ দূর করার জন্য পরিবারের সকলকে উপযুক্ত হাইজিন মেনে চলতে হবে।
বাচ্চা যেন খাওয়ার আগে-পরে ভাল করে সাবান দিয়ে হাত ধোয়। শুধু শিশু নয়, যিনি শিশুর পরিচর্যা করবেন, তাঁর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। হাতে লম্বা নখ রাখবেন না। শিশুকে খাওয়ানোর সময় আংটি পরে থাকবেন না। আর একটা কথা, বাচ্চাকে সবসময় ভাল করে রান্না করা খাবার খাওয়ান।
স্টুল টেস্ট করেই সাধারণত নিশ্চিত হওয়া যায়, বাচ্চার কৃমি হয়েছে কি না। এনাসের কাছ থেকে একটা সোয়াব নিয়েও অনেক সময় পরীক্ষা করা হয়। শরীরে কোন ধরনের কৃমি আছে সেই অনুযায়ী ওষুধ খেয়ে ডিওয়র্মিং করাই এর একমাত্র চিকিৎসা। ডিওয়র্মিংয়ের জন্য ট্যাবলেট এবং সিরাপ পাওয়া যায়। তবে শুধু অসুস্থ বাচ্চার নয়, পুরো পরিবারেরই ডিওয়র্মিং করা এক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর একটাই কারণ, যাতে বাচ্চার পুনরায় সংক্রমণ না হয়।
প্রতি বছর ১০ ফেব্রুয়ারিতে ন্যাশনাল ডিওয়র্মিং ডে পালিত হয়। এদিন নানা স্কুলে স্কুলে বাচ্চাদের কৃমির ওষুধ খাওয়ানো হয়। আসলে আমাদের দেশে অনেক বাচ্চা উপযুক্ত স্বাস্থ্য পরিষেবার আওতার বাইরে থাকে। তাদের যাতে কৃমির সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা।
কোন মন্তব্য নেই