এনআরসি নিয়ে বিজেপিকে চরম হুঁশিয়ারি মমতার।
নজরবন্দি ব্যুরোঃ বাংলাকে এখন পাখির চোখ করে এগোতে চাইছে বিজেপি। অসমের মতো পশ্চিমবঙ্গেও নাগরিক পঞ্জী বা এনআরসির দাবিতে অনড় বিজেপি। বৃহস্পতিবার সিঁথিমোড় থেকে শ্যামবাজারের পদযাত্রার পর সেই এনআরসি নিয়েই বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারকে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিন এনআরসির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই পদযাত্রার আয়োজন করে তৃণমূল। পদযাত্রা শেষে শ্যামবাজারের পাঁচমাথার মোড়ে বক্তব্য রাখেন মমতা। ওই সভা থেকেই তিনি এক হাত নেন বিজেপিকে। বলেন, “বাংলায় এনআরসি হবে না। বাংলা কখনও মাথা নত করবে না, বাংলাকে হিংসা করে কোনো লাভ নেই”। তৃণমূলের এই পদযাত্রাকে উদ্দেশ্য করেই গত বুধবার একটি সভায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, “অসমের ধাঁচে পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হবে। তাতে প্রায় দু’কোটি মানুষ বাদ যাবে। বিদেশি নাগরিকেরা এসে রাজ্য তথা দেশের সম্পদ নষ্ট করছে। তা রুখতেই এনআরসি প্রয়োজন”। কতকটা সেই মন্তব্যের জবাব দিতেই মমতা এ দিন বলেন, “বাংলায় দু’কোটি তো দূরের কথা, আগে দু’জনের গায়ে হাত দিয়ে দেখাও”। তিনি বলেন, “হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান, শিখ- প্রত্যেকের ভালোর জন্যই আমি এখানে এনআরসি চালু করতে দেব না”।
অসমে এনআরসি তালিকা থেকে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ গিয়েছে।নিজের দেশে সর্বহারাদের মতো দিনযাপন করে চলেছে নাম বাদ যাওয়া মানুষগুলো। কেন্দ্রীয় সরকার আশ্বাস দিয়েছে এখনই এনআরসিতে নাম বাদ যাওয়া মানুষদের চিন্তার কোন কারণ নেই। ১২০ দিন সময় পাবেন নিজেদের ভারতীয় নাগরিক হিসেবে প্রমাণ দেওয়ার জন্য। ট্রাইব্রুনালে যাওয়ার সুযোগ থাকছে। আপাতত বজায় থাকছে সমস্ত ভারতীয় নাগরিক হিসবে সুযোগ সুবিধা। কিন্তু তাতেও কপালে চিন্তার গাঢ় ভাঁজ লঘু হওয়ার অবকাশ নেই।
এদিনের তৃণমূলের পদযাত্রা ঘিরে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে গোটা উত্তর কলকাতা। সিঁথিমোড় থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিলের জেরে প্রবল ভাবে ব্যাহত হয় যান চলাচল। পদযাত্রা বেলা ৩টে নাগাদ শ্যামবাজার পৌঁছায়। হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে সেখানে। পদযাত্রা শেষে সেখানে বক্তব্য রাখেন মমতা।
তিনি বলেন, “আমি বেঁচে থাকতে পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি চালু করতে পারবে না। আর আগামী চার প্রজন্ম এমন ভাবে তৈরি করে যাব, যাতে কেউ এখানে এনআরসি চালু করতে পারবে না”।
এ দিন এনআরসির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই পদযাত্রার আয়োজন করে তৃণমূল। পদযাত্রা শেষে শ্যামবাজারের পাঁচমাথার মোড়ে বক্তব্য রাখেন মমতা। ওই সভা থেকেই তিনি এক হাত নেন বিজেপিকে। বলেন, “বাংলায় এনআরসি হবে না। বাংলা কখনও মাথা নত করবে না, বাংলাকে হিংসা করে কোনো লাভ নেই”। তৃণমূলের এই পদযাত্রাকে উদ্দেশ্য করেই গত বুধবার একটি সভায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, “অসমের ধাঁচে পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হবে। তাতে প্রায় দু’কোটি মানুষ বাদ যাবে। বিদেশি নাগরিকেরা এসে রাজ্য তথা দেশের সম্পদ নষ্ট করছে। তা রুখতেই এনআরসি প্রয়োজন”। কতকটা সেই মন্তব্যের জবাব দিতেই মমতা এ দিন বলেন, “বাংলায় দু’কোটি তো দূরের কথা, আগে দু’জনের গায়ে হাত দিয়ে দেখাও”। তিনি বলেন, “হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান, শিখ- প্রত্যেকের ভালোর জন্যই আমি এখানে এনআরসি চালু করতে দেব না”।
অসমে এনআরসি তালিকা থেকে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ গিয়েছে।নিজের দেশে সর্বহারাদের মতো দিনযাপন করে চলেছে নাম বাদ যাওয়া মানুষগুলো। কেন্দ্রীয় সরকার আশ্বাস দিয়েছে এখনই এনআরসিতে নাম বাদ যাওয়া মানুষদের চিন্তার কোন কারণ নেই। ১২০ দিন সময় পাবেন নিজেদের ভারতীয় নাগরিক হিসেবে প্রমাণ দেওয়ার জন্য। ট্রাইব্রুনালে যাওয়ার সুযোগ থাকছে। আপাতত বজায় থাকছে সমস্ত ভারতীয় নাগরিক হিসবে সুযোগ সুবিধা। কিন্তু তাতেও কপালে চিন্তার গাঢ় ভাঁজ লঘু হওয়ার অবকাশ নেই।
কোন মন্তব্য নেই