Header Ads

"এক ভাষা এক রাষ্ট্র সেই ভাষা হোক হিন্দি" অমিতের মন্তব্যে ফুঁসছে দাক্ষিণাত্য।

অমিত সরকারঃ "নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধান বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান" এই মন্ত্রে দীক্ষিত ভারতের কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর গুজরাট থেকে পশ্চিমবঙ্গ। শনিবার ছিল হিন্দি দিবস। ভারতের গণপরিষদ এই দিনে সরকারি ভাষা হিসেবে হিন্দি কে গ্রহণ করেছিল তারপর থেকে প্রতিবছর ১৪ই সেপ্টেম্বর হিন্দি দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়। হিন্দি দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে সকালে এক টুইটে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেখেন "ভারত বিভিন্ন ভাষার দেশ এবং প্রত্যেকের ভাষার নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে কিন্তু গোটা দেশের একটি ভাষা অত্যন্ত জরুরি তাতে ভারতের নিজস্ব পরিচয় তৈরি করে আজ দেশকে যদি কোন একটি ভাষা বাঁধনে বাঁধতে পারে তাহলে সেটি হল যে ভাষায় সবথেকে বেশি মানুষ কথা বলেন সেই হিন্দি"
পরে অপর একটি অনুষ্ঠানে বলেন "ভাষার বৈচিত্র্য আমাদের দেশের শক্তি কিন্তু বিদেশী ভাষা যাতে ঢুকতে না পারে সে জন্য আমাদের দেশের একটি ভাষা থাকার সময় এর দাবি" অপরদিকে এই মন্তব্যকে ঘিরে এই টুইটে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন "হিন্দি দিবসে সবাইকে শুভেচ্ছা। আমাদের উচিত সব ভাষা ও সংস্কৃতিকে সমানভাবে সম্মান জানানো" ডিএমকে নেতা স্তালিন বলেন- "হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে আমরা লাগাতার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অমিত সেদিন যে মন্তব্য করেছেন তাতে আমরা আশাহত। ওর মন্তব্যে দেশের ঐক্য ধাক্কা খাবে ওর উচিত মন্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করে নেওয়া।"
কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী বলেন "দেশজুড়ে হিন্দি দিবস পালিত হচ্ছে নরেন্দ্র মোদি কবে কন্নড় ভাষা দিবস পালন করবেন? " অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া বলেন " হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা বলার মিথ্যাচার বন্ধ হওয়া দরকার। কন্নড় ভাষার মতো হিন্দিও বাইশটি সরকারি ভাষার অন্যতম" এক দেশ এক ভাষা এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এর এই মন্তব্য ঘিরে যে চাপানউতোর চলছে তার বেশিরভাগ অংশই দক্ষিণ ভারতের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে। রাস্তায় নেমেছে কর্নাটকের একাধিক সংগঠন, এখন দেখার বিষয় এই ভাষা আন্দোলনের ফলাফল কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.