কলেজের পড়াশোনা ও পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে না পেরেই আত্মহত্যা পথ বেছে নিল ঋষিক? কি বলছে সুইসাইড নোট?
নজরবন্দি ব্যুরোঃ সেন্ট জেভিয়ার্সের প্রথম বর্ষের ছাত্র ঋষিক কোলের আত্মহত্যার কারণ হিসেবে যা সন্দেহ করা হচ্ছিলো সেতাই পাওয়া গেল তার সুইসাইড নোটে। হাঁ বাংলা মাধ্যম থেকে পাশ করা ঋষিক অনেক চেষ্টা করেও মানিয়ে নিতে পারছিল না স্কুলের ক্লাস ও বন্ধুদের সাথে। সে দিন দিন অবসাদ গ্রস্থ হয়ে পরছিল। নোট ঋষিক লিখেছে “সমস্ত ক্লাস ইংরেজিতে পড়ানো হয়। শিক্ষকদের ইংরেজিতে পড়ানোটা মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। কম্পিউটার ক্লাসও একদম বুঝতে পারছি না। কলেজে পড়াশোনার লেভেল খুব হাই”। বাংলা মাধ্যমে পড়ে ইংরেজি মিডিয়ামের সহপাঠীদের সঙ্গে মানিয়ে নিতে তাঁর বিস্তর অসুবিধা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ঋষিক।
সুইসাইড নোটে সে আরও লিখেছে “বাবা এত টাকা খরচ করে ভরতি করাল। কিন্তু আমি তো চাপ নিতে পারছি না! বাবা বকবে। আমার এখানে ভরতি হওয়াটাই ভুল হয়েছে। ফেরারও পথ নেই। তাই আমি আত্মহত্যা করছি”। হুগলির সিঙ্গুরে বেলতলা লেনে বাড়ি ঋষিকের। বাবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী আর মা স্কুলে পড়ান। দিদি ধানবাদে আইআইটিতে গবেষণা করেন। সে নিজেও মেধাবী ছাত্র। উচ্চমাধ্যমিকে সে ৪৭০ নম্বর পেয়েছিল। স্বপ্ন ছিল অধ্যাপক হবার তাই শহর কোলকাতার এই নামে প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছিল সে কিন্তু স্বপ্ন তার স্বপ্নই থেকে গেল। সবকিছুর সাথে মানিয়ে নিতে না পেরে একটি মেধাবী ছেলে চিরতরে চলে গেল।
কোন মন্তব্য নেই