Header Ads

বঞ্চনার বিরুদ্ধে আন্দোলনরত নার্সদের ধর্নায় পুলিশি তাণ্ডবের অভিযোগ! বিপাকে রাজ্য সরকার।

নজরবন্দি ব্যুরোঃ বঞ্চনার তিন দশক অতিক্রান্ত। অবহেলিত হতে হতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে তাঁদের। তাই আর না! ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে ওনাদের। এই ওনারা আর কেউ নন রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া প্রশিক্ষিত নার্স!
যারা জেলায় বসবাস করেন তাঁরা এই নার্স বা সিস্টার দিদিদের সাথে সুপরিচিত। গোলাপি শাড়ি হাসি মুখ। শিশুর টিকা থেকে পোলিও সবই হয় এদের হাত ধরেই কিন্তু বঞ্চনাতেও প্রাথমিক শিক্ষকদের মত প্রথম সারিতে এনারাও। কার্যত চূড়ান্ত অবজ্ঞার শিকার এই স্বাস্থ কর্মীরা।
গত বৃহস্পতিবার রানী রাসমণি রোডে যোগ্যতা অনুযায়ী বেতনের দাবীতে ধর্ণায় বসেন নার্সরা। গত ৩২ বছর ধরে তাঁদের পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি হয়নি বলে অভিযোগ। রানী রাসমণি রোডে ধর্নার সময় পুলিশ তাঁদের সাথে অত্যন্ত দূরব্যাবহার করে বলে অভিযোগ। স্বাস্থ সেবিকারা অভিযোগ করেন পুলিশ ধর্না তুলতে এসে কার্যত তাণ্ডব চালায়। পরে চলতি মাসের ৯ তারিখে সল্টলেকের স্বাস্থ ভবনে আবার ধর্ণায় বসেন তাঁরা। কিন্তু এখানেও জোটে পুলিশের অত্যাচার। পুলিশ জোর করে ধর্ণা তুলতে চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেন সিস্টার রা। পুলিশের টানা হেঁচড়ার ফলে বেশ কয়েকজন স্বাস্থ কর্মী চোট পান। একজনের হাত কেটে যায়, সংজ্ঞা হারান আরও একজন।

পুলিশ গ্রেফতার করে অনেক নার্স কে। অভিযোগ নার্সদের পিটিয়েছে পুলিশ। এক এএনএম নার্সের কাতর অনুরোধ "স্যার মারছেন কেন" উপেক্ষা করেও লাঠি উঁচিয়ে আঘাত হানে পুলিশ বলে অভিযোগ। পরে মহিলা পুলিশ এসে রাজ্যের নার্সদের মারধোর করে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
নার্সদের বক্তব্য, " দু বছরের প্রশিক্ষণ থাকা সত্ত্বেও যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন বাড়েনি তাঁদের। ১৯৮১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত একবারও বাড়েনি বেতন। তাঁদের গ্রেড পে মাত্র ২৬০০ টাকা। এই ২৬০০ টাকা গ্রেড পে কে ৪১০০ টাকা করা এবং পদন্নোতির দাবিতেই তাঁরা ধর্না দিয়েছিলেন। 
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.