আতঙ্ক ছড়িয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে। অমিত শাহের জরুরী বৈঠক, ইরফান পাঠানদের কাশ্মীর ছাড়ার বার্তা ।
নজরবন্দি ব্যুরোঃ গত সপ্তাহ থেকেই গোটা উপত্যকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ধাপে ধাপে মোট ৩৫ হাজার অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। শুক্রবারই পর্যটক ও অমরনাথ যাত্রীদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাশ্মীর ছাড়ার নির্দেশিকা জারি করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। এই পরিস্থিতিতে নানা গুঞ্জন ছড়িয়েছে গোটা উপত্যকায়। সংবিধানের ৩৫এ বা ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়া থেকে শুরু করে জম্মু এবং কাশ্মীরকে আলাদা রাজ্য ঘোষণা ১৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পতাকা উত্তোলনের মতো জল্পনা ঘিরে চাপা উত্তেজনা। কাশ্মীরের স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আজ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন অমিত শাহ।
এর মধ্যে আবার ভারতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান ও জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট দলের সহকারী কর্মীদের কাশ্মীর ছাড়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা পর্ষদের পক্ষ থেকে। দলের কোচ মিলাপ মেউহুডা এবং ট্রেনার সুদর্শন ভিপি ও ইরফান পাঠান কড়া নিরাপত্তায় শ্রীনগর বিমান বন্দরে পৌঁছেছেন। এই সব ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় দোকানবাজার, ওষুধের দোকান এবং এটিএমের বাইরে বহু মানুষের ভিড় চোখে পড়ে। আতঙ্কিত পর্যটক-তীর্থযাত্রীরা যাঁদের মধ্যে বহু বিদেশিও রয়েছেন তাঁরা শ্রীনগর বিমানবন্দরে ভিড় করছেন।
আতঙ্ক ছড়িয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের রাজনীতিবিদদের মধ্যেও। তাঁরা মনে করছেন কেন্দ্র হয়ত সংবিধানের ‘আর্টিকল ৩৫এ’ বদলে দিতে পারে। যদিও রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক জানান এমন কোনও পরিকল্পনা নেই। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান “স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ ভয় পাইয়ে দিয়েছে নাগরিকদের। পর্যটক এবং তীর্থযাত্রীদের এভাবে এলাকা ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। সরকার চাইছে ঘৃণার বাতাবরণ তৈরি করতে। বলতে চাইছে কাশ্মীর বহিরাগতদের জন্য নিরাপদ নয়। ভারত সরকারের এমন সিদ্ধান্তের আমরা নিন্দা করছি”।
এর মধ্যে আবার ভারতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান ও জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট দলের সহকারী কর্মীদের কাশ্মীর ছাড়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা পর্ষদের পক্ষ থেকে। দলের কোচ মিলাপ মেউহুডা এবং ট্রেনার সুদর্শন ভিপি ও ইরফান পাঠান কড়া নিরাপত্তায় শ্রীনগর বিমান বন্দরে পৌঁছেছেন। এই সব ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় দোকানবাজার, ওষুধের দোকান এবং এটিএমের বাইরে বহু মানুষের ভিড় চোখে পড়ে। আতঙ্কিত পর্যটক-তীর্থযাত্রীরা যাঁদের মধ্যে বহু বিদেশিও রয়েছেন তাঁরা শ্রীনগর বিমানবন্দরে ভিড় করছেন।
কোন মন্তব্য নেই