Header Ads

এবার সুশান্ত ঘোষকে শোকজ! ৭% কে শূণ্যতে নামানোর প্রবল চেষ্টায় সিপিআইএম।

নজরবন্দি ব্যুরোঃ সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনে তামিলনাড়ু ছাড়া দেশ জুড়ে ভরাডুবি ঘটেছে সিপিআইএমের, যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের দৈন্যদশার চিত্র রেড ফোর্সে হাহাকার তুলেছে। আসন তো জোটেইনি, বরং ভোট শতাংশ নেমে এসেছে মাত্র ৭ এ।
এই অবস্থাতেও সিপিআইএম দিকভ্রষ্ট হয়নি, বজায় রেখেছে চিরাচরিত প্রথা। রাজ্যকমিটির বৈঠক হয়েছে নিয়ম করে, সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে রাজ্য সম্পাদক জানিয়ে দিয়েছেন মিটিং-এর সারবক্তা। সেটা হল তৃণমূলের ওপর নরম মনোভাব নয়!
অনেক সিপিআইএম কর্মিই বুঝতে পারেন নি বা পারছেন না দল ঠিক কি করতে চাইছে। এতো গেল একটা দিক, অন্যদিকে কোপ পড়তে চলেছে এককালের ডাকাবুকো নেতা সুশান্ত ঘোষের ওপর। রবিবার রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র এবং নেতা রবীন দেবের উপস্থিতিতে সুশান্ত ঘোষ কে শোকজের প্রস্তাব পাশ হয়। সুশান্ত ঘোষ কে শোকজের প্রস্তাব এনেছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির সম্পাদক তরুণ রায়।
সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি জেলা কমিটির অনুমোদন না নিয়েই কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন পাশের জেলা বাঁকুড়ায়। শুধু তাই নয়, মাঝে মধ্যেই কর্মীদের চাঙ্গা করতে তাঁদের সাথে বৈঠকে বসেন সুশান্ত অথচ অনুমোদন নেননা জেলা কমিটির। অভিযোগ এতটাই গুরুতর যে শোনা মাত্রই সুশান্ত ঘোষ কে শোকজের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে দল!! সূত্র জানাচ্ছে সেই চিঠিও খুব তাড়াতাড়ি ধরানো হবে তাঁর হাতে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে বিপুল হারের মুখে বিপর্যস্ত দলের যে হাতে গোনা কয়েকজন জিতেছিলেন তাঁর মধ্যে অনতম ছিলেন সুশান্ত ঘোষ। মাঝে মধ্যেই নিজের নিয়ম নীতিতে চলে দলকে গড়বেতায় বাচিয়ে রাখার অভিযোগে ২০১৬ সালে তাঁকে আর টিকিটই দেয়নি দল। এখন তিনি জেলা কমিটির একজন সাধারণ সদস্য।
সূত্রের খবর, গত কিছুদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সুশান্ত ঘোষের মত বলিষ্ঠ নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী প্রজেক্ট করে ২০২১ নির্বাচনে ভোটে লড়ার দবি তুলছিলেন সমর্থকরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সব পোষ্টকে ভালো চোখে দেখেননি সিপিআইএম নেতারা।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.