Header Ads

চরম প্রতিবাদ! ধর্নামঞ্চে শিক্ষার শহীদ দিবস পালন রাত পোহালেই; বিজেপি দিচ্ছে জল-বায়ো টয়লেট।

নজরবন্দি ব্যুরোঃ যোগ্যতা অনুযায়ী বেতনের দাবীতে UUPTWA-র নেতৃত্বে প্রাথমিক শিক্ষকরা অনশন করছেন বিকাশ ভবনের অদূরে। অনশনের সপ্তম দিন অতিক্রান্ত। কোন হেলদোল নেই রাজ্য সরকারের। এক লক্ষ ছিয়াশি হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের হকের দাবীতে অনশন করছেন ১৮ জন প্রাথমিক শিক্ষক।  NCTE দ্বারা নির্ধারিত যোগ্যতা না থাকলে প্রাথমিক শিক্ষকরা শিক্ষকতাই করতে পারতেন না।
আগে যোগ্যতামান ছিল মাধ্যমিক পাশ। বর্তমানে HS ৫০% বা Graduate সঙ্গে ডিএলএড ট্রেনিং না থাকলে হওয়া যায়না প্রাথমিক শিক্ষক। এহেন যোগ্যতা নিয়ে শিক্ষকতা করবেন, আর বেতনের বেলায় সেই পুরনো মাধ্যমিক মান অনুযায়ী PB-২ তে তাঁরা বেতন পাবেন! এরই প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নেমেছে আপামর প্রাথমিক শিক্ষক কূল। বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষক সংগঠন, সমাজকর্মীরা আন্দোলনের মঞ্চে গিয়ে সহমর্মিতা জানালেও নির্বিকার প্রশাসন। তাঁরা ব্যাস্ত দলীয় কর্মসূচি নিয়েই।বিকাশ ভবনের পাশে অনশন মঞ্চে যেখানে জল বন্ধ, টয়লেট বন্ধ সেখানে তাঁর অদূরে সেন্ট্রাল পার্কে ২১শে জুলাইয়ের সভার জন্যে আগত কর্মী সমর্থকদের খাওয়া, জল, টয়লেট ইত্যাদির ঢালাও ব্যাবস্থা করেছে শাসক দল। এই অবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষকদের ন্যুনতম সুবিধা দেওয়ার চেষ্টায় এগিয়ে এল রাজ্য বিজেপি। বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু জানিয়েছেন, রবিবার বিজেপির পক্ষ থেকে অনশন স্থলে পর্যাপ্ত জল এবং বায়ো টয়লেটের ব্যাবস্থা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় শনিবার UUPTWA-র সাথে বৈঠক করেন। অনশনকারিদের পক্ষে ৫ জনের প্রতিনিধিদল বিকাশ ভবনে গিয়ে বহুদূরে ট্রান্সফার করে দেওয়া সহকর্মীদের ফিরিয়ে আনা এবং প্রাথমিক শিক্ষকদের পিআরটি স্কেল প্রদান করার পক্ষে দাবি রাখেন শিক্ষামন্ত্রী-র সামনে।
শিক্ষামন্ত্রী তাঁদের মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, "তিনি দেখছেন"। UUPTWA-র রাজ্য সভাপতি সন্দীপ ঘোষ জানিয়েছেন, আজ শিক্ষামন্ত্রীর ডাকে আমরা সুষ্ঠু আলোচনার জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু উনি Pay scale revision নিয়ে পরিষ্কার কোন প্রতিশ্রুতি দেন নি। বদলি নিয়ে ও বলেছেন সোমবারের পর করে দেবেন কিন্তু এই প্রতিশ্রুতি উনি ২৪ শে জুনেও বলেছিলেন কিন্তু এখনো সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি।
সুতরাং, আমাদের রাজ্য কমিটির মিটিং এ সিদ্ধান্ত অনুসারে ধর্না এবং অনশন জারি রাখা হল। অন্যদিকে, শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন, "অনশনকারীদের খুশি করতে তিনি বৈঠক করেন নি! শিক্ষকদের "দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ থাকা উচিত" বলেও মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি বলেন "তাদের সরকার শিক্ষকদের সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেয়।" দাবি প্রসঙ্গে তার বক্তব্য, "এমন কোন রুল নেই যে পিআরটি স্কেল দিতেই হবে। চরম আর্থিক সঙ্কটের মধ্যেও তাঁরা চেষ্টা করছেন কিছুটা দেওয়ার।" শিক্ষকদের অনশন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে তার বক্তব্য, "ওরা ধর্না অনশন চালিয়ে যাক আমাদের কিছু করার নেই।"
শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে উস্থির রাজ্য সভাপতি ঘোষণা করেছেন "আগামীকাল আমরা ধর্নামঞ্চে শিক্ষার শহীদ দিবস পালন করব।পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের আমন্ত্রণ জানাই। আমরা ১০০০ জন শিক্ষক শিক্ষিকা আগামীকাল অনশনকারীদের সর্মথনে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা অবধি অনশন করব।"

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.