টালমাটাল মেয়রের গদি, নিজের ওয়ার্ডেই হেরে গেলেন মমতা! চরম সঙ্কটে তৃণমূল।
নজরবন্দি ব্যুরোঃ সময়টা ২০০৯ সাল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইতিহাস গড়ার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময়। বাংলার অগনিত মানুষের জনসমর্থন নিয়ে দীর্ঘ ৩৪ বছরের লাল সাম্রাজ্যের পতন ঘটালেন তিনি। ক্ষমতায় এল তৃণমূল। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই ওয়ান ম্যান আর্মির দলে মাথা চাড়া দিল অনেক 'সুবিধাবাদী'।
মুখ্যমন্ত্রীর সামনে ভাল থাকার অভিনয় আর সাধারন মানুষ কে শোষন, লুঠ, তোলাবাজি একসাথে পাল্লা দিয়ে চালিয়ে গেলেন তারা। দেখতে দেখতে এমন হল বিধানসভা পরবর্তী নির্বাচনেই মানুষের ওপর আস্থা হারিয়ে রাস্তা নিতে হল ভোট লুঠের। যা কঙ্কালসার রূপে প্রকট হয়ে পড়ল ২০১৬ নির্বাচনে। এই বিধানসভা নির্বাচনেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের কর্মকর্তারা বিশ্বাস রাখতে পারলেন না জনগনের ওপর, ভোট লুটের অভিযোগ উঠল কোনায় কোনায় যা কার্যত উলঙ্গ রূপে প্রকট হয়ে পড়ল ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনে।
মানুষের চোখ থেকে হারিয়ে গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনমুখি প্রকল্পের ছবি, মিলিয়ে গেল কন্যাশ্রী রূপশ্রীরা। সরকারি কর্মী থেকে শিক্ষক প্রায় সর্বস্তরেই জুলুমবাজি বঞ্চনার অভিযোগ উঠল তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে যা সাইক্লোন হয়ে সম্প্রতি ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ছারখার করে দিল তৃনমূলের ঘর। ভাবা যায় ৮ বছর শাসন করতে না করতে রাজ্যের সরকারি দল ৪২ টির মধ্যে সরকারি কর্মী শিক্ষকদের ভোটে ৪০ আসনে পরাজিত হল! জয় মাত্র একটি আসনে। অন্যদিকে জনগন ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়ে জনমত দিলেন বিজেপি-র পক্ষে! ফল রাজ্যে বিধানসভার ২৯৪টি আসনের ১২৯টি আসনে লিড নিল বিজেপি!
অবস্থা এমন যায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের বিধানসভার অন্তর্গত একাধিক ওয়ার্ডে পিছিয়ে গেছে তৃণমূল। নিজের বাড়ি মানে যেখানে অভিষেক সহ ব্যানার্জি পরিবারের সবাই থাকেন সেই ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে হেরে গেছে তৃণমূল। ৭৩ ছাড়াও নিজের কেন্দ্র ভবানীপুরের ৬৩, ৭০, ৭১, ৭২ এবং ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে গেছে বিজেপি। অন্যদিকে করুন অবস্থা ববি হাকিমের নিজের ওয়ার্ড। সম্প্রতি মেয়র পদে দাঁড়িয়ে যেখানে ১৪০০০ ভোটে জিতেছিলেন ববি এবার সেই মার্জিন দাঁড়িয়েছে মাত্র ১১০০ ভোটে!
আগামীদিনে কি করেন মুখ্যমন্ত্রী সেটাই দেখার কারন ২০০৯ ফিরে এসেছে ২০১৯ এ। আশঙ্কা ২০১১ ফিরবে ২০২১ এ!
মুখ্যমন্ত্রীর সামনে ভাল থাকার অভিনয় আর সাধারন মানুষ কে শোষন, লুঠ, তোলাবাজি একসাথে পাল্লা দিয়ে চালিয়ে গেলেন তারা। দেখতে দেখতে এমন হল বিধানসভা পরবর্তী নির্বাচনেই মানুষের ওপর আস্থা হারিয়ে রাস্তা নিতে হল ভোট লুঠের। যা কঙ্কালসার রূপে প্রকট হয়ে পড়ল ২০১৬ নির্বাচনে। এই বিধানসভা নির্বাচনেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের কর্মকর্তারা বিশ্বাস রাখতে পারলেন না জনগনের ওপর, ভোট লুটের অভিযোগ উঠল কোনায় কোনায় যা কার্যত উলঙ্গ রূপে প্রকট হয়ে পড়ল ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনে।
অবস্থা এমন যায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের বিধানসভার অন্তর্গত একাধিক ওয়ার্ডে পিছিয়ে গেছে তৃণমূল। নিজের বাড়ি মানে যেখানে অভিষেক সহ ব্যানার্জি পরিবারের সবাই থাকেন সেই ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে হেরে গেছে তৃণমূল। ৭৩ ছাড়াও নিজের কেন্দ্র ভবানীপুরের ৬৩, ৭০, ৭১, ৭২ এবং ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে গেছে বিজেপি। অন্যদিকে করুন অবস্থা ববি হাকিমের নিজের ওয়ার্ড। সম্প্রতি মেয়র পদে দাঁড়িয়ে যেখানে ১৪০০০ ভোটে জিতেছিলেন ববি এবার সেই মার্জিন দাঁড়িয়েছে মাত্র ১১০০ ভোটে!
আগামীদিনে কি করেন মুখ্যমন্ত্রী সেটাই দেখার কারন ২০০৯ ফিরে এসেছে ২০১৯ এ। আশঙ্কা ২০১১ ফিরবে ২০২১ এ!

No comments