পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদীদের ঘৃণ্য আক্রমণে জওয়ানদের মৃত্যুর ঘটনায় গোটা দেশ শোকাহতঃ সূর্যকান্ত মিশ্র
নজরবন্দি ব্যুরো: পুলওয়ামায় ৪০ ভারতীয় সেনার মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে সিপিআই(এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র আজ বিবৃতি দিয়ে জানান,"কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদীদের ঘৃণ্য আক্রমণে জওয়ানদের মৃত্যুর ঘটনায় গোটা দেশ শোকাহত। আমরা সকলেই এই শোকের অংশীদার এবং স্বজন-হারা পরিবারের সঙ্গে সমব্যথী। আমরা লক্ষ্য করছি, দেশের মানুষ যখন শোকাহত তখন সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়িয়ে উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে গত কয়েকদিন ধরে, বি জে পি-আর এস এস-র পক্ষ থেকে। মুখ্যমন্ত্রী হঠাৎ সোমবার এই নিয়ে মুখ খুলেছেন।
কোন পরিস্থিতিতে এই ঘটনা ঘটেছে, তা এড়ানো যেতো কিনা, কীভাবে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান সম্ভব সেবিষয়ে যারা বিজেপি’র সহমত নন তাঁরা সেইসব প্রশ্ন তুলেছেন ও তাঁদের মতামত দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতিতে সেগুলির কিছু কিছু পুনরুল্লিখিত হয়েছে। অথচ যারা ঘৃণা ছড়িয়ে উত্তেজনা ও উন্মাদনা সৃষ্টি করছে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। উল্টে যারা এর প্রতিবাদ করছেন, তাঁদেরই মুখ বন্ধের চেষ্টা করছে। যেদিন কলকাতায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে সেই দিনই মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে শাসকদলের মোমবাতি মিছিল সুসম্পন্ন করার স্বার্থে পুলওয়ামা ঘটনার আগে থেকেই ১৭টি দলের ডাকা মিছিলে বারবার বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। গ্রামীণ সম্পদ কর্মীদের মিছিলে লাঠিচার্জ করা হয়েছে।
অন্যান্য দল-সহ শাসকদলের সমালোচনা করা হয়েছে বলে একটি সিনেমা পর্যন্ত দেখাতে দেওয়া হচ্ছে না। রাজ্যে এখন মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে, যার এখনও পর্যন্ত হওয়া সব পরীক্ষারই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গেছে। রাজ্যে অতীতে কখনো এসবের নজির দেখা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ প্রশাসন উত্তেজনা ও উন্মাদনা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে মানুষ যাতে প্রতিবাদে সরব হতে না পারেন, তার জন্যই ১৪৪ ধারা জারি করে সব কর্মসূচী বন্ধ করার চেষ্টা করছে। এই অরাজক অবস্থার বিরুদ্ধে শুভ-বুদ্ধিসম্পন্ন সকল অংশের মানুষকে সোচ্চার হবার আবেদন জানাচ্ছি। কেন্দ্রের সরকার ও শাসকদল যখন উগ্র সাম্প্রদায়িক প্রচারের মধ্য দিয়ে বিভাজনের রাজনীতির আশ্রয় নিয়েছে, তখন তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করে দলদাস পুলিশ দিয়ে বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা অসম্ভব।"
অন্যান্য দল-সহ শাসকদলের সমালোচনা করা হয়েছে বলে একটি সিনেমা পর্যন্ত দেখাতে দেওয়া হচ্ছে না। রাজ্যে এখন মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে, যার এখনও পর্যন্ত হওয়া সব পরীক্ষারই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গেছে। রাজ্যে অতীতে কখনো এসবের নজির দেখা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ প্রশাসন উত্তেজনা ও উন্মাদনা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে মানুষ যাতে প্রতিবাদে সরব হতে না পারেন, তার জন্যই ১৪৪ ধারা জারি করে সব কর্মসূচী বন্ধ করার চেষ্টা করছে। এই অরাজক অবস্থার বিরুদ্ধে শুভ-বুদ্ধিসম্পন্ন সকল অংশের মানুষকে সোচ্চার হবার আবেদন জানাচ্ছি। কেন্দ্রের সরকার ও শাসকদল যখন উগ্র সাম্প্রদায়িক প্রচারের মধ্য দিয়ে বিভাজনের রাজনীতির আশ্রয় নিয়েছে, তখন তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করে দলদাস পুলিশ দিয়ে বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা অসম্ভব।"

No comments