Header Ads

ওদের বর্ষবরণ নেই,ওরা শুধুই ভোটার! মান আর হুশ থাকলে প্রতিবেদনটি পড়বেন একবার।

সৌমেন মিশ্র, নজরবন্দিঃ রাত পোহালেই অন্ধকারের ছায়া মুছে উঠবে ২০১৯ এর সূর্য। বর্ষবরণে জেলা জুড়ে রাতভর আলোর রোসনাই,ডিজের তালে রঙিন দুনিয়ায় মশগুল থাকবে সারা রাজ্য। কিন্ত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের ভাদুতলা এলাকার পিরচক গ্রামের গোপাল,রুমী,লোধাদের বাড়িতে সেই আলোর কোনো ছটাই পৌঁছবে না। জেলাজুড়ে লোধা সম্প্রদায়ের জীবনচিত্রটা এমনই!
 গেল ৩৪ তার আবার পরিবর্তন ঘটিয়ে আসা বর্তমান সরকার কারও নজরে নেই এই পিরচক গ্রামের ৯টি পরিবারের ৪৫ জন সদস্যের অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবন। নেই পানীয় জলের সুব্যবস্থা,নেই রাস্তা রাতে বিদ্যুতের আলো পর্যন্ত নেই! ২০১৮ এর শেষ সকালে পায়ে পায়ে হেঁটে তাদের তৈরি রাস্তাদিয়েই গোপাল রুমীদের বাড়ি পৌঁছে ছিলেন সমাজসেবী তথা কবি মৃণাল কোটাল। পিসি চুনি কোটাল জীবনভর লোধা সম্প্রদায়ের জন্য লড়েছেন। সেই পথেই ভাইপো মৃণাল।
 আগের বাম এখনের তৃণমূল কিংবা কেন্দ্রে থাকা বিজেপি কাউকেই ছেড়ে কথা বলেন না তিনি। লোধাদের একটু উন্নয়নে তাঁর যে অক্লান্ত নির্ভিক পরিশ্রম তা এক কথায় স্বীকার করে মেদিনীপুর থেকে ঝাড়গ্রাম এলাকার সমস্ত লোধা সম্প্রদায়ের মানুষ। খবরটা আগেই ছিল সকালে গিয়ে চাক্ষুষ করলেন পিরচক গ্রামের হতদরিদ্র লোধা পরিবারের দুর্দশা। রস্তায় মোরাম নেই,পায়ে চলে চলে তৈরি হয়েছে রেখা।
 ভাঙা নলকূপ আর শুকনো এক খান কুঁয়ো দুয়েমিলে জোগায় তৃষ্ণার জল। সকাল হলেই বড়রা বেরিয়ে পড়ে জঙ্গলে কাঠ পাতা কুড়োতে। বিকেলে তা বাজারে বিক্রি করে চাল ডাল কিনে বাড়ি ফিরে দুমুঠো রেঁধে শিশুদের মুখে জুটে একমুঠো অন্ন। নেই বিদ্যুৎ,সুর্য ডুবার সাথে সাথে অন্ধকার নেমে আসে লোধাদের ছোটোছোটো মাটির বাড়ি গুলিতেও! মড়ার ওপর খাড়ার ঘায়ের মত গত কয়েকদিন ধরে কয়েকটি হাতির দল এসে পৌঁছে আসপাশের গ্রামে।
 
এই বুঝি হাতির দল হানা দিল তাদের গ্রামে, এই সংশয়ে গেল কয়েকরাত দুচোখের পাতা এক করতে পারেনি পরিবারের পুরুষেরা।
মৃণালবাবু বলেন,পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে আমি সকালে ওখান থেকে ফিরেই বিষয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লকস্তরে জানিয়েছি। এখন দেখার প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেয়। ব্যবস্থা যাই নিক প্রশাসন ২০১৮ এ জ্বালা প্রদীপের আলো নিভেই তাদের ঘরে ঢুকিবে ২০১৯ এর সোনালী সূর্য।

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.