Header Ads

মেট্রোতে যুগলের আলিঙ্গন ঘিরে উত্তাল রাজ্য! এবার কলম ধরলেন অধ্যাপক বিমল শঙ্কর নন্দ।


নজরবন্দি ব্যুরো: মেট্রো স্টেশনে আলিঙ্গন, চুম্বন। তার পর সেই যুগলকে ধরে বেধড়ক প্রহার। আর সেই ঘটনায় তোলপাড় গোটা রাজ্য। আর এবার সেই বিতর্কিত বিষয় নিয়ে নিজের ফেসবুক ওয়ালে বুদ্ধিজীবী বিমল শঙ্কর নন্দ যা লিখলেন তা আনএডিটেড তুলে ধরা হল। তিনি লিখেছেন, বহুদিন আগে ভূপেন হাজারিকা একটি গান গেয়েছিলেন : " গোপনে গোপনে কত যে খেলি আলিঙ্গনের এই খেলা"। একটি আলিঙ্গন নিয়ে এত কেলো হবে জানলে ভূপেন হাজারিকা হয়ত অন্য কিছু গাইতেন। ঠিকই তো দুটি প্রাপ্তবয়স্ক নারী পুরুষ পরস্পরকে একটু জড়িয়ে ধরে তাতে কার বাবার কি?
মেট্রোর কাছাকাছি থাকার কারণে মেট্রো আমার প্রায় ঘরবাড়ি। সকাল বিকেল আলিঙ্গনরত যুগল মূর্তি কম চোখে পড়ে না। কিন্তু কারুর তো তেমন বিকার দেখি না।তাই সেদিনের ঘটনাপ্রবাহ দেখে মনে হল শুধু আলিঙ্গনের জন্য এত কিছু হয় নি। যতদূর মনে পড়ছে বেশ কয়েক বছর আগে এই মেট্রোতে একটু বাড়াবাড়ি রকমের আলিঙ্গনের প্রতিবাদ করতে গিয়ে এক অবাঙালি ভদ্রলোক বেধড়ক মার খেয়েছিল। কারণ তখন যুগলেরা সংখ্যায় বেশী ছিল। তখন "হোক প্রতিবাদ " কেউ করে নি। কারণ তখন "হোক" - এর যুগ শুরুইই হয় নি। এখন তো কেবল "হোক" - এর যুগ। হোক কলরব, হোক চুম্বন তারপর হোক আলিঙ্গন। একেবারে সর্বাত্মক বিপ্লব (জয়প্রকাশ নারায়ণ ক্ষমা করবেন)। এর পর পুলিশ কিছু গোলমেলে হোটেল বা বাড়িতে হানা দিয়ে নারী - পুরুষদের পাকড়াও করলে এমন হতেই পারে আন্দোলন হল "হোক --------- "। একেবারে বিপ্লবের পূর্ণতাপ্রাপ্তি । সেদিন বোধহয় সত্যিকারের আধুনিক হব।
ক্রৌঞ্চ পাখির ভালোবাসায় ব্যাধ বাদ সেধেছিল। কিন্তু তাতে জন্ম হয়েছিল এক কবির। আর মেট্রোয় ভালোবাসায় বাধা পেয়ে জন্ম হল হাজার হাজার কবির। পরস্পরকে জড়িয়ে সে কি গান রে ভাই। কানের ভেতর দিয়ে মরমে পশে গেছে। সবকিছুর ভালো দিক আছে। একদল শারলক হোমস আর এরকুল পোয়ারো ইতিমধ্যেই "অভিযুক্ত " -দের নাম ধাম প্রকাশ করে ফেলেছেন। আর যাদের নাম বেরিয়েছে তারা নাকি পুলিশে যাচ্ছেন। কারন এই 'তারা' নাকি সেই 'তারা' নন। গতিক সুবিধের নয় দেখে গোয়েন্দারা পোস্ট - ফোস্ট তুলে নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। সত্যিই কেলো। তবে এর মধ্যেও একটি নতুন তথ্যও পেলাম পণ্ডিত - কাম - গোয়েন্দাদের কাছ থেকে। এরা নাকি সব হিন্দুত্ববাদী।


বাংলার প্রতিটি কোণে কোণে, মেট্রোয় মেট্রোয় যদি এত হিন্দুত্ববাদীর আবির্ভাব ঘটে তবে কিন্তু এখনকার শাসকদলের চিন্তার কারণ আছে। কয়েকটা দিন চারদিকে কেবল ভাগাড় দেখছিলাম। আপাতত ভাগাড় ভাগাড়ে গেছে। আসুন সমবেতকন্ঠে গাই : " খোলাখুলি খেলবো মোরা আলিঙ্গনের এই খেলা "।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.