এরাজ্যে অলিখিত 'রাম-বাম' জোট? তীব্র সমালোচনা কেরলের প্রথম সারির দৈনিক মালয়ালা মনোরমায়!
নজরবন্দি ব্যুরোঃ রাজ্যে রাম-বাম কি অলিখিত জোট করেছে? প্রশ্নটা উসকে দিয়েছে রাজ্যের একাধিক যায়গায় বাম-বিজেপির যৌথ দেওয়াল লিখন। আর এবার সেই প্রশ্নে ঘৃতাহুতি দিল বাম শাসিত কেরালার মালয়ালা মনোরমা নামের এক প্রথম সারির দৈনিক। মালয়ালা মনোরমায় এরাজ্যে বাম বিজেপির যৌথ দেওয়াল লিখন আর প্রচারের কর্মসূচী কে তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। আর তার পরেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে কেরল জুড়ে। সেই সমালোচনায় বিদ্ধ এরাজ্যের সিপিআইএম নেতারাও।
উল্লেখ্য বিষয় কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়েছে সিপিআইএম-এর পার্টি কংগ্রেস। সেখানে আলোচ্য বিষয় তথা সিদ্ধান্তের মধ্যে অন্যতম ছিল "সাম্প্রদায়িক শক্তি" বিজেপির বিরুদ্ধে সমস্ত অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল গুলির একজোট হয়ে লড়ার দিকটি। সিপিআইএম এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি তথা রাজ্য নেতৃত্বও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ার বিষয়টিতে জোর দেন। কিন্তু সম্প্রতি একটি খবর প্রকাশ্যে আসে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে নদীয়া, পুরুলিয়া সহ একাধিক জায়গায় অলিখিত ভাবে জোট করেছে বাম-বিজেপি। এক্ষেত্রে নাম উঠে এসেছে সিপিআইএম-এর রাজ্য কমিটির সদস্য নদিয়ার রমা বিশ্বাস ও পুরুলিয়ার প্রদীপ রায়ের। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এরা উপরমহলের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সরাসরি জোট করেছেন বিজেপির সাথে। এই একই খবর প্রকাশিত হয় কেরালার মালয়ালা মনোরমা নামে এক বহুল প্রচারিত দৈনিকে।
খবরটি জানাজানি হতেই এর তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। বিজেপির সাথে হাত মেলানোকে 'নির্লজ্জ ক্ষমতালোভ' বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির সাথে হাত মেলানোর ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক প্রয়াস বলে মন্তব্য করেন ঋতব্রত।
পাশাপাশি এই প্রসঙ্গে উঠছে বেশ কিছু প্রশ্ন। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বে একাধিক জায়গায় বিজেপি প্রার্থী দিতে পারলেও প্রার্থী দিতে পারেনি সিপিআইএম। কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে সন্ত্রাসকে। কিন্তু প্রশ্ন, সন্ত্রাস এড়িয়ে বিজেপি প্রার্থী দিলেও কেন পারলো না বামেরা? তবে কি এর পেছনে কাজ করছে বাম বিজেপির গোপন জোট? বিজেপিকে চিরকাল সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টিকারী দল বলে কটাক্ষ করে যে বামেরা তারাই কেন বিজেপির সাথে হাত মেলালো? এর পেছনে কাজ করছে শুধুই কি ক্ষমতালোভ? তৃণমূলকে হারানোর 'দায়' কি সমস্ত নীতি আদর্শ থেকে সরিয়ে আনলো সিপিআইএমকে? আদর্শবাদী দলের এই উলঙ্গ ক্ষমতালোভ একাধিক প্রশ্নকে উস্কে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, মমতা বন্দোপাধ্যায় চরম ভাবে বিজেপি তথা "সাম্প্রদায়িক শক্তির" বিরোধিতা করছেন প্রকাশ্যে সেখানে সিপিআইএমের নিচুতলায় বিজেপির সাথে একসাথে চলা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করছেন দলেরই একাংশের সমর্থক। এক সমর্থকের কথায় "আমাদের সম্প্রীতির পক্ষে লড়াই করতে হবে। রাজনৈতিক ভাবে তৃণমূল আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী কিন্তু দেশের শত্রু বিজেপি আর তার সাথে লোকাল স্তরেও সমঝোতা মেনে নেওয়া যায়না, পার্টির মূলধন আদর্শ সেটাই যদি নড়বড় করে....!"
উল্লেখ্য বিষয় কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়েছে সিপিআইএম-এর পার্টি কংগ্রেস। সেখানে আলোচ্য বিষয় তথা সিদ্ধান্তের মধ্যে অন্যতম ছিল "সাম্প্রদায়িক শক্তি" বিজেপির বিরুদ্ধে সমস্ত অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল গুলির একজোট হয়ে লড়ার দিকটি। সিপিআইএম এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি তথা রাজ্য নেতৃত্বও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ার বিষয়টিতে জোর দেন। কিন্তু সম্প্রতি একটি খবর প্রকাশ্যে আসে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে নদীয়া, পুরুলিয়া সহ একাধিক জায়গায় অলিখিত ভাবে জোট করেছে বাম-বিজেপি। এক্ষেত্রে নাম উঠে এসেছে সিপিআইএম-এর রাজ্য কমিটির সদস্য নদিয়ার রমা বিশ্বাস ও পুরুলিয়ার প্রদীপ রায়ের। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এরা উপরমহলের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সরাসরি জোট করেছেন বিজেপির সাথে। এই একই খবর প্রকাশিত হয় কেরালার মালয়ালা মনোরমা নামে এক বহুল প্রচারিত দৈনিকে।
খবরটি জানাজানি হতেই এর তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। বিজেপির সাথে হাত মেলানোকে 'নির্লজ্জ ক্ষমতালোভ' বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির সাথে হাত মেলানোর ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক প্রয়াস বলে মন্তব্য করেন ঋতব্রত।
পাশাপাশি এই প্রসঙ্গে উঠছে বেশ কিছু প্রশ্ন। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বে একাধিক জায়গায় বিজেপি প্রার্থী দিতে পারলেও প্রার্থী দিতে পারেনি সিপিআইএম। কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে সন্ত্রাসকে। কিন্তু প্রশ্ন, সন্ত্রাস এড়িয়ে বিজেপি প্রার্থী দিলেও কেন পারলো না বামেরা? তবে কি এর পেছনে কাজ করছে বাম বিজেপির গোপন জোট? বিজেপিকে চিরকাল সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টিকারী দল বলে কটাক্ষ করে যে বামেরা তারাই কেন বিজেপির সাথে হাত মেলালো? এর পেছনে কাজ করছে শুধুই কি ক্ষমতালোভ? তৃণমূলকে হারানোর 'দায়' কি সমস্ত নীতি আদর্শ থেকে সরিয়ে আনলো সিপিআইএমকে? আদর্শবাদী দলের এই উলঙ্গ ক্ষমতালোভ একাধিক প্রশ্নকে উস্কে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, মমতা বন্দোপাধ্যায় চরম ভাবে বিজেপি তথা "সাম্প্রদায়িক শক্তির" বিরোধিতা করছেন প্রকাশ্যে সেখানে সিপিআইএমের নিচুতলায় বিজেপির সাথে একসাথে চলা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করছেন দলেরই একাংশের সমর্থক। এক সমর্থকের কথায় "আমাদের সম্প্রীতির পক্ষে লড়াই করতে হবে। রাজনৈতিক ভাবে তৃণমূল আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী কিন্তু দেশের শত্রু বিজেপি আর তার সাথে লোকাল স্তরেও সমঝোতা মেনে নেওয়া যায়না, পার্টির মূলধন আদর্শ সেটাই যদি নড়বড় করে....!"

No comments