Header Ads

জঙ্গলমহলের জনসভা থেকে কি বললেন শুভেন্দু?

নজরবন্দি ব্যুরো: আমরা জানি কারা বিজেপির পতাকা টাঙ্গাচ্ছে ,কারা নির্দল কে উস্কানি দিচ্ছে ,এই লোকগুলো জানে যে জঙ্গল মহল থেকে অনেক আগেই হাত চিহ্ন অনেক আগেই উঠে চলে গেছে আর এখন শুকনো পদ্ম ভারতীয় জনতা পার্টি । এই পদ্মের ফুল কখন বাংলা তে ফুটবেনা যত চেষ্টা করুক না কেন । ঝাড়গ্রামে জেলার শিলদা তে বিজেপিকে এভাবেই কটাক্ষ করলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি আরো জানান জঙ্গলমহল আমার হাতের তালু। আমি জানি, জঙ্গলমহলের মানুষ এই শক্তিকে কখনই প্রশয় দেবে না। কেন্দ্রের বিজেপির সরকার গত চার বছরে কোন কাজ করতে পারে নি। রেলের ভাড়া ২০ শতাংশ বাড়ানো হল। ডিজেল ৭০ টাকা ও পেট্রল ৮০ টাকা হয়েছে।

এরা আর তিন মাস থাকলে পেট্রল ও ডিজেলের দাম সেঞ্চুরি পার করাবে। তাই তাড়াতাড়ি এদের বিদায় দিতে হবে। এই বিদায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আর কেউ দিতে পারবে না। জঙ্গলমহলে ঝাড়খণ্ড থেকে আরএসএসের লোক এনে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে পতাকা পোঁতা যাবে, কিন্তু ভোট পাওয়া যাবে না। সিপিএমের আমলে প্রতিদিন খুন সন্ত্রাস হয়েছে, কিন্তু গত সাত বছরে এটা নেতাই, নন্দীগ্রামের ঘটনা ঘটেনি। তাই মমতা  বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা রাখুন। মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র ফিরিয়েছে। তাই বিরোধীরা রাজনীতি করার সুযোগ পায়। জঙ্গলমহলের অভাব-অভিযোগ, আবেদন নিবদেন থাকলে পরিবহন দপ্তরে গিয়ে আমাকে দেবেন, স্থানীয় বিধায়ক, এমপিদের দেবেন। আমরা দিদির সৈনিক হিসাবে রয়েছি। আপনাদের দুঃখ যন্ত্রণা থাকলে সঠিক জায়গায় পৌঁছে দেব। পঞ্চায়েতে ৫০ শতাংশ মহিলাদের সংরক্ষণ অন্য কোন রাজ্যে পাবেন না। দিদি পঞ্চায়েতে ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ করে নারীদের হাতে অধিকার দিয়েছে। শান্তিকে চিরস্থায়ী শান্তিতে পরিণত করতে হলে ১৪ তারিখ উৎসবের মত জোড়াফুলে ভোট দেবেন। জঙ্গলমহল তৃণমূলের ঘাঁটি। জঙ্গলমহলে আপনাদের পাশে থাকব, ডাকলে আবার আসব। ২০০৪ সালের পর কোন মুখ্যমন্ত্রী জঙ্গলমহলে আসেন নি। সিপিএমের কোন নেতা-সাংসদ আসেন নি, কেউ রাত্রিযাপন করেন নি। কেউ রাস্তায় হাঁটেন নি। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী গত সাত বছরে একশো বারের বেশি জঙ্গলমহলে রাত্রিযাপন করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নের দুয়ারে বারে বারে উন্নয়নের ডালি নিয়ে এসেছেন। কাঁরা পদ্ম ফুলের পতাকা টাঙাচ্ছে, কারা নির্দলদের উস্কানি দিচ্ছে,তা আমরা জানি। জঙ্গলমহলে কংগ্রেস ও ঝাড়খণ্ড পার্টি নেই। হার্মাদ সিপিএম কাস্তে-হাতুড়ি-তারা নিয়ে বেরোল লোক তাঁদের তাড়া করবে ধামসা মাদল নিয়ে বেরোলে। তাই তাঁরা সিপিএমের প্রতীকে লড়াই করার সাহস পায় নি। তাঁই তাঁরা ছদ্মবেশ ধারণ করে, নারকেল, আমজাম, দাঁড়িপাল্ল, মই, লন্ঠন নিয়ে দাঁড়িয়েছেন। সঙ্গে রয়েছে শুকনো পদ্ম। এই পদ্মের ফুল বাংলাতে কোনদিন ফুটবে না। কোন সরকার সাঁওতালি ভাষাকে স্বীকৃতি দেয় নি। সাঁওতালী ভাষায় প্রাইমারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পঠনপাঠন ও সাঁওতালী ভাষায় শিক্ষক নিয়োগ আমরা করেছি। ১ লক্ষ ১২ হাজার লোকশিল্পীকে কে ভাতা দেয়। ৩৪ বছর বামফ্রন্ট সরকার দেয় নি।

আর কেন্দ্রের বিজেপি সরকার দেয় নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আপনাদের জন্য দিয়েছি। জঙ্গলমহলে হোমগার্ড , জুনিয়র কনেস্টবল, এনভিএফ, সিভিক ভলান্টিয়ার জঙ্গলমহলে ৩০ হাজার চাকরি পেয়েছে।এই পঞ্চায়েতের উন্নয়ন মূলক কাজের জন্য আমরা আপনাদের দুয়ারে হাজির হয়েছি। পঞ্চায়েত নির্বাচন পন্ড করার জন্য একটা অংশ চেষ্টা চালাচ্ছে। এরা কারা তাঁদের এক ডেসিমিল জল জায়গা নেই। তাঁরা ফ্ল্যাট বাড়িতে এসি রুমে থাকেন, তাঁদের ধারণা নেই, পঞ্চায়েত ভোট বন্ধ হলে গ্রামের মানুষের কি ক্ষতি হতে পারে। মুর্শিদাবাদের কংগ্রেসকে দিদির আর্শিবাদে উল্টে দিয়েছি। উত্তর দিনাজপুরে দীপা দাশমুন্সি ও মহম্মদ সেলিমকে ভো কাট্টা করে দিয়েছি। বাকী আছে মালদা। সেখানেও লড়ে জিতব। তৃণমূল উত্তরবঙ্গেও জিতবে।আজকের সভায় পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও উপস্হিত ছিলেন অনগ্রসর শ্রেনী কল্যান  মন্ত্রী চূড়ামনী মাহাত ,ঐ এলাকার অর্থাৎ বিনপুরের বিধায়ক খগেন্দ্রনাথ হেমব্রম ,ঝাড়গ্রামের বিধায়ক সুকুমার হাঁসদা ,জেলা সভাপতি অজিত মাইতি সহ,জেলা পরিষদ,পঞ্চায়েত সমিতি,গ্রাম পঞ্চায়েতের সমস্ত প্রার্থীরা ।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.