Header Ads

এই নির্বাচনে বামেরা কি সত্যি তৃতীয়? নাকি শুধুই প্রচার। বিশেষ প্রতিবেদন।

নজরবন্দি ব্যুরো: অনেক বিতর্ক অনেক রক্তক্ষরণের পর রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের সমাপ্তি ঘটেছে। আর তার পরে থেকে কোন দল কোন স্থানে আছে সেই নিয়ে চায়ের ঠেক থেকে শুরু করে ট্রেন, বাস সব যায়গাতে জোর আলোচনা। এমনকি সন্ধ্যে হলেই মিডিয়া গুলিতে জমিয়া সমালোচনা, শেষ হয়ে গেল এই রাজ্যের বাম সংগঠন।

তাদের মতে এই রাজ্যে তৃতীয় স্থানে নেমে এল বামেরা। কেন তারা তৃতীয় স্থানে, তার আসল কারণ কি? সেই সবের সঠিক বিশ্লেষণের ধার ধারেনা কোন সংবাদমাধ্যম,এমনকি যেসমস্ত বাম নেতারা চ্যানেল গুলিতে আলোচনাতে অংশগ্রহণ করছেন তারাও তার সঠিক ব্যাখ্যা তুলে ধরতে ব্যর্থ। বাজারে সুপরিকল্পিত একটা প্রচার চলছে , এই রাজ্যের সিপি আই(এম) শেষ। কারণ তাদের স্থান এখন বিজেপির পরে। প্রথম প্রশ্ন এই রাজ্যে বিজেপিকে ডেকে আনলেন কে? তিনি অবশ্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই মনে করেন রাজনৈতিক বোদ্ধারা। আর এই রাজ্যে তিনি যেভাবে বিজেপিকে বাড়তে সাহায্য করেছেন তার জন্য তিনি পুরষ্কারও পেয়েছেন! যেমন- সারদা ও নারদার তদন্তকে প্রায় ঠান্ডা ঘরে পাঠিয়ে দেওয়া।
নারদ কান্ডে নাম জড়িয়ে ছিল তৃণমূলের ডাকাবুকো নেতা শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু তিনি কেন গ্রেপ্তার হননি তার কোন সঠিক যুক্তি নেই। আর তাই বিজেপিকে উপঢৌকন হিসাবে শুভেন্দু বাবু মেদিনীপুরের বেশকিছু এলাকা আরএসএসকে ছেড়ে দিয়েছেন অবাধে কাজ করার জন্য। আর তার জেরেই জঙ্গল মহলে বিজেপি তাদের জমি ইতিমধ্যেই শক্তকরে ফেলেছে, সেটা এই নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরে সেই চিত্র আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে বলে ব্যাখ্যা রাজনৈতিক মহলের। গ্রাম পঞ্চায়েত,পঞ্চায়েত সমিতি,জেলা পরিষদ এই তিন স্তরে বিজেপির থেকে অনেক কম আসনে নমিনেশন করেছিলো বামেরা। তৃণমূল যে নির্দিষ্টভাবে বামপ্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দিয়েছিলো,বিজেপির ক্ষেত্রে ততোটা কড়াকড়ি করেনি, আর বাজারি মিডিয়া সেগুলি এড়িয়ে গিয়েছেন। তবে এটা ঠিক, প্রার্থীদের মনোনয়ন জনা দেবার ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্ক থাকা উচিত ছিল বাম নেতাদের।

এর পর যদি দেখা যায় ,বাম সমর্থিত নির্দল প্রার্থীদের জয়ী আসনগুলো বামফ্রন্টের জয়ী হওয়া আসনগুলোর সাথে এক করা যায়,তবে তা বিজেপিকে পিছিয়ে দিয়ে বামেদের দ্বিতীয় স্থানে নিয়ে আসবে। তাই বাজারি মিডিয়া বা তৃণমূল ও বিজেপির সুপরিকল্পিত প্রচার যাই হোক না, রাজ্যে বামেরা ছিল, আছে আর ভবিষ্যতে থাকছে। যদিও বামেদেরকে আরও লড়াকু ও সংগঠিত ভাবে দেখতে অভ্যস্ত এই রাজ্যের মানুষ।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.