Header Ads

তৃণমূলে ক্রমাগত একঘরে শোভনের ভবিষ্যৎ কি তাহলে গেরুয়া শিবির?? জ্বল্পনা তুঙ্গে

নজরবন্দি ব্যুরোঃ বেশ কিছুদিন ধরে ঝামেলার মধ্যে আছেন তিনি। একে নারদের ঢেঁকির গুঁতো তার উপর সাংসারিক কলহ। কার্যত জেরবার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তার উপর মাঝে মধ্যেই আছে দলনেত্রীর বকাঝকা। কুরুক্ষেত্রের ওপারে স্ত্রী রত্নার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ শ্বশুর দুলাল দাস। একাধিক বিড়ম্বনায় মধ্যে দিন কাটছে কলকাতার মেয়রের!

একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী শোভনের জন্যে নাকি এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা চলছে যাতে তিনি নিজে থেকেই পদত্যাগ করেন। বৃহস্পতিবার রাতভর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের ধরনা ও তার প্রেক্ষিতে একাধিক পুলিশকর্তা এবং দলের শীর্ষনেতৃত্বের আচরণে চরম মর্মাহত শোভন বাবু। সূত্রের দাবি সেদিন রাতে সাহায্য চেয়ে এক আইপিএস অফিসার কে ফোন করেন শোভন, সেই অফিসার নাকি 'দেখছি' বলে কেটে দেন ফোন!

তারপর আরও এক পুলিশ কর্তা কে ফোন করলে তিনি নাকি প্রশ্ন করেন শোভন কেন নিজের মেয়ের ভিসার ফর্মে সই করছেন না! আইনজীবী বদলে ফেলুন! হতাশ শোভন পাল্টা জিজ্ঞাসা করেন এত রাতে কি এইসব আলোচনা করার সময়? তখন পুলিশ কর্তা বলেন তাহলে এত রাতে শোভন কিভাবে তার সাহায্য চাইছেন? বলে শুভরাত্রি জানিয়ে ফোন কেটে দেন! শোভন বাবু রাত তিনটে নাগাত দলের শীর্ষ নেতৃত্ব কে জানান তিনি হয়তো আর বাঁচবেন না! কিন্তু স্ত্রীর ব্ল্যাকমেলিং এর কাছে ঝুঁকবেনও না!! দল তাঁকে মহেশতলা উপনির্বাচন পর্যন্ত চুপ থাকার পরামর্শ দিয়েছে বলে খবর।

প্রশ্ন উঠছে শোভন বাবু কলকাতার মেয়র তথা বিধায়ক - মন্ত্রী তার যদি এহেন অবস্থা হয় তাহলে শহর তথা রাজ্যবাসীকে তিনি নিরাপত্তা দেবেন কিভাবে? অন্যদিকে সূত্রের দাবি মুকুল রায়ের সাথে ভালই যোগাযোগ রয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। সেক্ষেত্রে তৃণমূলে ক্রমাগত একঘরে হতে থাকা শোভনের রাজনৈতিক ভবষ্যৎ যদি গেরুয়া শিবিরও হয় তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই!!
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.