Header Ads

কোর্টের কর্মবিরতি এবং নির্বাচন! ধৈর্য হারাচ্ছেন হবু শিক্ষকরা।

নজরবন্দি ব্যুরো: হাইকোর্টের কর্মবিরতি ১৪ মে পর্যন্ত বাড়ল বলে খবর। আর এর ফলে কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়ল এই রাজ্যের হবু শিক্ষকরা।
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সমস্যা অনেকদিন ধরে চলেছে। একাধিক সমস্যা আদালতের বিচারাধীন। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বন্ধ রেখেছে রাজ্য সরকার। এমনটাই অভিযোগ। আর শিক্ষক নিয়োগ কেন করছে না রাজ্য সরকার? তার উত্তরে আধিকারিক থেকে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরা বারবার এই মামলার দোহাই দিয়েছেন। যদিও বাস্তব ঘটনা তা নয়, এমনটাই মনে করেন হবু শিক্ষক নেতা রাজা নন্দী।
আর যদি মামলার জন্য নিয়োগ আটকে থাকত তাহলে মালদা জেলাতে শিক্ষকদের নিয়োগের জন্য যখন আদালত নির্দেশ দিল, তখন কেন ওই সব পরীক্ষার্থীদের নিয়োগ করা হল না। তার কোন সদুত্তর নেই রাজ্য সরকারের কাছে। এর পাশাপাশি দু-দিন আগে  জনগণের প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেবার জন্য একটি সংবাদ মাধ্যমে এসেছিলেন  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে চাকরী প্রার্থীদের প্রশ্ন ছিল কেন মুখ্যমন্ত্রী তাদের সাথে দেখা করেননি এবং কবে তাদেরকে নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। কিন্তু তাদের প্রশ্নের কোন উত্তর দেওয়া হয়নি, উল্টে কমেন্ট অবসান আটকে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।

দেরিতে নির্বাচন এবং হাইকোর্টের কর্মবিরতির জন্য হবু শিক্ষকদের দায়ের করা মামলার শুনানি যে পিছিয়ে যাচ্ছে সেই বিষয়ে চিন্তিত এই রাজ্যের কয়েক হাজার চাকরী প্রার্থী। কারণ, রাজ্য সরকার অলিখিত ভাবে ঘোষণা করেছে, নির্বাচন প্রক্রিয়া মিটলেই তাদের সমস্যার সমাধান করবেন।
আর তাই চাকরী প্রার্থীদের একটা বড় অংশ তাকিয়ে আছেন কবে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হয় এবং হাইকোর্টের কর্মবিরতি উঠে যায়।

এই বিষয়ে এক চাকরী প্রার্থী আজ আমাদের জানালেন, " যদি এই নির্বাচনের পরেই শিক্ষক নিয়োগের সমস্যা মেটানোর ইচ্ছা থাকত রাজ্য সরকারের, তাহলে মুখ্যমন্ত্রী যেদিন সংবাদ মাধ্যমে এসেছিলেন জনগণের প্রশ্নের উত্তর দেবার জন্য, সেই দিন আমাদের প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দিতেন। তিনি কোন উত্তর দেননি। আর এর থেকেই স্পষ্ট, খুব সহজে আমাদের এই নিয়োগ সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।"

এখন দেখার নির্বাচনের পরে এই নিয়োগ নিয়ে কি উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার, আর সেই দিকে তাকিয়ে এই রাজ্যের কয়েক হাজার চাকরী প্রার্থী। 

No comments

Theme images by lishenjun. Powered by Blogger.