Header Ads

জোট গড়তে নয়া সমীকরণ? চা-চক্রে পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি ও সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি।

নজরবন্দি ব্যুরো: হঠাৎ চা-চক্রে পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি আর সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি। কোলাঘাটের এক হোটেলে, বুধবার সন্ধ্যায়। আর সেই নিয়ে তুমুল জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।
বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সিদ্দিকুল্লাহ সরকারি কাজকর্মে নিজের অখুশির কথা প্রকাশ্যে জানিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, ছেড়ে দিয়েছেন সরকারি গাড়ি ও নিরাপত্তা। বিশেষত নিজের নির্বাচনী এলাকা মঙ্গলকোটে সন্ত্রাস নিয়ে সরব হয়েছেন বারবার। সাংবাদিকদের উপর হামলা নিয়েও আশঙ্কিত হন। সিদ্দিকুল্লাহ এরপরই যোগাযোগ রাখছিলেন ত্বহা সিদ্দিকির সঙ্গে। আর পঞ্চায়েত মামলা চলাকালীন এই কাজটা সেরে ফেললেন গোপনে । সম্ভবত দুজনের এই সাক্ষাৎ এই প্রথম।

প্রসঙ্গত, তাঁর অনুগামীদের পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট না দেওয়াতে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দীকুল্লাহ চৈধুরী। আগেই তাঁর ক্ষোভের কথা জানিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সিকেও তিনি অভিযোগ জানিয়ে ছিলেন। এই সমস্যা সমাধানে  দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই সমস্যা সমাধানে যেমন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে,  পাশাপাশি  তৃণমূল সুপ্রিমো কৌশলি সিদ্ধান্তও নিয়েছেন।
বিশ্বস্ত সূত্রের দাবি, সিদ্দীকুল্লাকে পাল্টা  চাপে রাখতে  পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকির প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছেন একাধিক নেতা। এই বিষয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি সিদ্দিকুলাহর সাথে এই বিষয়ে কথা বলব এবং ত্বহা সিদ্দিকির সঙ্গেও কথা বলব।’ উল্লেখ্য,  ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে সংখ্যালঘু ভোটের কথা মাথায় রেখে জমিয়ত উলামাই হিন্দের রাজ্য সভাপতি সিদ্দিকুল্লা'র সঙ্গে সমঝোতায় এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সিদ্দিকুল্লাকে দলীয় টিকিট প্রার্থী করেন তিনি। তাকে মন্ত্রীও করা হয়। কিন্তু মঙ্গলকোট, নন্দীগ্রাম সহ বিভিন্ন জায়গায় জমিয়ত সদস্যদের প্রার্থী না করায় ক্ষুব্ধ হন সিদ্দিকুল্লা। দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে গা- জোয়ারির অভিযোগ করেন তিনি। বিষয়টা জমিয়ত রাজ্য ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেও ওঠে।
তৃণমূল ক্ষোভ নিরসনের চেষ্টা চালালেও,  সিদ্দিকুল্লা যে ভাবে প্রকাশ্যে সংবাদমাধ্যমের কাছে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন, সেটাকেও দল ভালোভাবে নেয়নি বলেই খবর। তাই কৌশলেই রাজ্যের শাসক দল  ত্বহা সিদ্দিকির প্রতি আগ্রহ দেখতে চাইছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ।
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.