Header Ads

ন্যায্য বেতন কবে মিলবে? জেলায় জেলায় সংগঠিত হচ্ছে শিক্ষক আন্দোলন। #NajarbandiExclusive

নজরবন্দি ব্যুরোঃ রাজ্যে শিক্ষক পদপ্রার্থী থেকে শুরু করে কর্মরত শিক্ষক- প্রত্যেকেই সমস্যার মধ্যে আটকে রয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে। নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যা তো রয়েছেই, তার সাথে রয়েছে শিক্ষকদের ন্যায্য বেতন থেকে বঞ্চনার অভিযোগ। এই সমস্যা নিয়ে একাধিক বার সরব হয়েছেন কর্মরত প্রাথমিক শিক্ষকরা। 


ন্যায্য বেতনের দাবিতে আরও একবার সরব হলেন উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন।
এনসিটিই নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষকদের যোগ্যতা মান হিসেবে বলা হয়- উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষায় ৫০ শতাংশ নম্বর এবং সেই সাথে ২ বছরের প্রশিক্ষণ। ২০১২ সালে রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, যে সমস্ত শিক্ষকদের এই যোগ্যতা নেই তাঁদের ২০১৫ সালের মধ্যেই সেই যোগ্যতা অর্জন করে ফেলতে হবে। নির্দেশিকা অনুযায়ী শিক্ষকরা তাঁদের যোগ্যতা বাড়িয়ে ফেললেও কথা রাখেনি রাজ্য সরকার। 


বেতন বৃদ্ধির দিকটি অবহেলা করেই গেছে। ফলে যোগ্যতা বাড়লেও বাড়েনি বেতন, দাবি প্রাথমিক শিক্ষকদের।
অন্যান্য রাজ্যে এনসিটিই নিয়ম অনুযায়ী, প্রাথমিক শিক্ষকরা ৯,৩০০ থেকে ৩৪,৮০০ টাকা এবং গ্রেড পে ৪,২০০ টাকা পান। কিন্তু এরাজ্যে একই যোগ্যতায় প্রাথমিক শিক্ষকরা পান ৫,৪০০ থেকে ২৫,২০০ টাকা এবং গ্রেড পে ২,৬০০ টাকা। অর্থাৎ প্রায় ১০ হাজার টাকা কম বেতন পান পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষকরা।



এই বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য গত ১৫ মার্চ তারিখে কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটি প্রেস মিটিং করেন উস্থি প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য শিক্ষকরা। এরপর বেতন সংক্রান্ত দাবি জানিয়ে শিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিবের সাথেও দেখা করেন তারা। কিন্তু তারপরেও অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় ফের বাঁকুড়া জেলার রাজবাড়ী লজে সমগ্র জেলার প্রাথমিক শিক্ষকদের উপস্থিতিতে আজ একটি আলোচনা সভা হয়।

 দাবি একটাই, যোগ্যতামান বাড়াতে বাধ্য করার পরেও প্রাপ্য বেতন কেন বাড়ানো হচ্ছে না? অবিলম্বে তাদের ন্যায্য বর্ধিত বেতনের আওতায় আনা হোক। তাদের এই দাবি না মানা হলে তারা যে আরও বড় আন্দলনের পথে যাবেন তা বুঝিজেলায় য়ে দিয়েছেন ওই প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সদস্য শিক্ষকরা।



Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.