Header Ads

নজরবন্দির খবরের জের! ন্যায্য বেতন থেকে বঞ্চিত প্রাথমিক শিক্ষকদের পাশে দিলীপ-সুজন-ওমপ্রকাশ!

নজরবন্দি ব্যুরোঃ রাজ্য জুড়ে শিক্ষক সমস্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। কখনো নিয়োগ জটিলতা, কখনো বেতন নিয়ে অসন্তোষ, আবার কখনো টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দুর্নীতি, একাধিক অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের সরকারের বিরুদ্ধে। বেতন সংক্রান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের বঞ্চনা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সরব হয়েছেন রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকরা। তাদের ন্যায্য বেতনের দাবি মানুষের সামনে নিয়ে আসতে গতকাল কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা।
এরাজ্যের প্রায় দেড় লক্ষ প্রাথমিক শিক্ষক ন্যায্য বেতন থেকে বঞ্চিত। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, ২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দপ্তরের তরফে ঘোষণা করা হয়, প্রাথমিকে শিক্ষকতার যোগ্যতা হিসেবে উচ্চমাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ নম্বর সহ পাশ এবং সেই সাথে এক বছরের প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। সরকারি ঘোষণার পর ২০১৫ সালের মধ্যেই সমস্ত শিক্ষকরা যাদের এই যোগ্যতা নেই তারাও তা অর্জন করেন। কিন্তু তারপরেও তাদের বেতন বাড়ানো হয়নি।

শিক্ষকদের অভিযোগ, দেশের অন্যান্য রাজ্যে এনসিটিই নিয়ম অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন ৯,৩০০ টাকা থেকে ৩৪,৮০০ টাকা, সঙ্গে গ্রেড পে ৪,২০০ টাকা। আর পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষকদের কপালে জোটে বেতন হিসেবে ৫,৪০০-২৫,২০০ টাকা, গ্রেড পে ২,৬০০ টাকা। অর্থাৎ এরাজ্যের একজন প্রাথমিক শিক্ষক সমযোগ্যতা সর্বভারতীয় স্তরের একজন শিক্ষকের তুলনায় প্রায় ১০ হাজার টাকা বেতন কম পান। কেন এই বৈষম্য? কেন এই বঞ্চনা? প্রশ্ন তুলেছেন তারা। প্রসঙ্গত, উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রশিক্ষণ না থাকলেও কেন্দ্রের নির্ধারিত বেতনক্রম অনুসারেই সমবেতন পান। বাদ শুধু প্রাথমিক শিক্ষকরা।
এবিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে গতকাল প্রাথমিক শিক্ষকদের তরফে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন।




এদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রাথমিক শিক্ষকরা তাদের দাবিকে তুলে ধরেন। তারা জানিয়েছেন, ছাত্র সমাজের স্বার্থে তাদের পঠনপাঠন বিঘ্নিত করে এখনো কোনো বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাননি ওই শিক্ষকরা।
কিন্তু এভাবে দিনের পর দিন বঞ্চনা সহ্য করা তাদের পক্ষে আর সম্ভব নয়। সাংবাদিক সম্মেলনের মঞ্চ থেকে প্রাথমিক শিক্ষকরা দাবি তোলেন, অবিলম্বে শিক্ষকদের বেতন কাঠামো পরিবর্তন করতে হবে। যে শিক্ষক যে সময়ে নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করেছেন সেই সময় থেকেই তাদের বর্ধিত বেতনের সুবিধা দিতে হবে। নাহলে তারা ব্যাপক আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হবেন।

এই পরিস্থিতিতে নজরবন্দির তরফে যোগাযোগ করা হয় ওমপ্রকাশ মিশ্র, সুজন চক্রবর্তী এবং দিলীপ ঘোষের সাথে। শিক্ষকদের এই বঞ্চনার বিষয়টিকে মেনে নেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাদের পাশে দাঁড়িয়ে দিলীপ বাবু বলেন, "এই সরকার মেলা মোচ্ছব করে টাকা ওড়াচ্ছে। অথচ শিক্ষকদের ন্যায্য বেতন থেকে বঞ্চিত করছে। শিক্ষকরা সমাজের অনুপ্রেরণা। আমি নিজে এবং বিজেপি সর্বতোভাবে তাদের পাশে আছি এবং সাহায্য করবো। প্রাথমিক শিক্ষকদের বঞ্চনা প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা তথা অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্র নজরবন্দির সাংবাদিককে বলেন, "শিক্ষকদের দাবিকে সম্পূর্ণ সমর্থন জানাই। আগামি সোমবার আমি শহরে ফিরছি। তারপর ওই প্রাথমিক শিক্ষকরা যদি আমার সাথে যোগাযোগ করেন তাহলে কংগ্রেসের তরফে সমস্ত সাহায্যের আশ্বাস দিচ্ছি"। বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীও শিক্ষকদের পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, "আমরা আগেও শিক্ষকদের বঞ্চনার দাবিতে সরব হয়েছি। শিক্ষকরা সমাজ গড়ার কারিগর। তাদের প্রতি রাজ্য সরকারের এই বঞ্চনা অবশ্যই সমর্থন যোগ্য নয়।"
Loading...

কোন মন্তব্য নেই

lishenjun থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.